ইরাকি জঙ্গিদের সমর্থনে দেওয়াল লিখন পাকিস্তানে

শহরের বস্তি থেকে তালিবান অধ্যুষিত গ্রাম পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে আইএসআইএস-এর (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) প্রভাব। পশ্চিম এশিয়ায় ধর্মীয় আধিপত্য বিস্তারে জেহাদ শুরু করা এই জঙ্গিগোষ্ঠীর লোগো, দেওয়াল লিখন, পোস্টার-লিফলেট এবং পতাকার দেখা মিলছে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায়। সম্প্রতি আল কায়দার শরিক পাক তালিবান (তেহরিক-ই তালিবান) এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আইএস-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লাহৌর ও বাগদাদ শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৫
Share:

শহরের বস্তি থেকে তালিবান অধ্যুষিত গ্রাম পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে আইএসআইএস-এর (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া) প্রভাব।

Advertisement

পশ্চিম এশিয়ায় ধর্মীয় আধিপত্য বিস্তারে জেহাদ শুরু করা এই জঙ্গিগোষ্ঠীর লোগো, দেওয়াল লিখন, পোস্টার-লিফলেট এবং পতাকার দেখা মিলছে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকায়। সম্প্রতি আল কায়দার শরিক পাক তালিবান (তেহরিক-ই তালিবান) এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে আইএস-এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার কথা ঘোষণা করেছে বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠী। তার মধ্যে অন্যতম ওয়াগা সীমান্তে বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত জুনেদ্‌উল্লা। আইএস-এর সঙ্গে হাত মেলানোর শাস্তি দিতে জুনেদউল্লাহের এক মুখপাত্রকে বহিষ্কারও করেছে তালিবান। তবে তাতে আইএস-এর প্রভাব ঠেকানো যায়নি। সম্প্রতি লাহৌরের এক অস্ত্র কারখানার সামনে উদ্ধার হয় আইএস-এর পতাকা। সেই নিয়ে তদন্ত শুরু হলেও অভিযুক্তদের হদিস পায়নি পুলিশ। তার মধ্যেই ফের পাকিস্তানে মাথা চাড়া দিচ্ছে আইএস-এর প্রভাব। তাত্‌পর্যপূর্ণ, পাক সেনার চর হওয়ার অপরাধে আইএস-এর কায়দায় একটি বাজারের সামনে এক ব্যক্তির মুণ্ডচ্ছেদ করে তালিবান। সূত্রের খবর, জুনেদ্‌উল্লার এক মুখপাত্র গোপনে বালুচিস্তানে গিয়ে বৈঠক সেরে এসেছেন আইএস-মুখপাত্রের সঙ্গেও। ফলে, পাকিস্তানে যে আইএস-এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনীতির কারবারিরা।

অন্য দিকে, লাগাতার মার্কিন বিমান হামলায় ইরাক ও সিরিয়ায় কিছুটা কোণঠাসা হয়েছে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠী। সিরিয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকদের তরফে আজ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মার্কিন বিমান হামলায় শুধু সিরিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে ৯১০ জনের। তাদের মধ্যে ৫২ জন সাধারণ নাগরিক। নিহতদের বেশিরভাগই জঙ্গি। সূত্রের খবর, মার্কিন সেনার মদতে ইরাকের রামাদির বেশ কিছুটা এলাকা জঙ্গিদখল মুক্ত করেছে সে দেশের সেনা। শুক্রবারই রামাদির পূর্বপ্রান্তের শিজারিয়া দখল করে সেনা। আজ, শনিবারও চলে দু’পক্ষের সম্মুখসমর। আনবার প্রদেশের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লড়াই যে দিকে এগোচ্ছে তাতে ইরাকে আইএস-এর সব চেয়ে পুরনো ঘাঁটি রামাদির পুনরুদ্ধার নিয়ে প্রশাসন আশাবাদী।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন