নিশ্চিন্তে ঘুমোতে হত্যালীলা কিমের

গত এক সপ্তাহ ধরে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি। কারণ গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি ২৩ তলা বহুতল। মারা যান ৫০০ জনেরও বেশি। সেই যন্ত্রণা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ওই বহুতল বানানোর পিছনে যাঁদের মস্তিষ্ক কাজ করেছিল, তাঁদের শাস্তির নির্দেশ দিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পিয়ংইয়ং শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৪ ০২:৫১
Share:

গত এক সপ্তাহ ধরে দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি তিনি।

Advertisement

কারণ গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ে ভেঙে পড়েছিল একটি ২৩ তলা বহুতল। মারা যান ৫০০ জনেরও বেশি। সেই যন্ত্রণা ঘুম কেড়ে নিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ওই বহুতল বানানোর পিছনে যাঁদের মস্তিষ্ক কাজ করেছিল, তাঁদের শাস্তির নির্দেশ দিলেন উত্তর কোরিয়ার একনায়ক। সেই মতো সোমবার চার ইঞ্জিনিয়ারকে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডের’ মুখে দাঁড়িয়ে প্রাণ দিতে হল। বহুতলটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন এক সেনাকর্তা। তাঁকে জেলে পোরা হয়েছে। জাপানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে।

জাপানের একটি সংবাদপত্রের দাবি, শাস্তি দেওয়া হয়ে গেলেও বহুতলটি ভেঙে পড়ার আসল কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করার কারণে বহুতলটি সে রকম মজুবত হয়নি। কিন্তু বহুতলটির জন্য জার্মানি, ইতালি থেকে উপকরণ আনা হয়েছিল। কিন্তু তবুও কেন মজুবত করে বানানো যায়নি বহুতলটি? সংবাদমাধ্যমের দাবি, বহুতল নির্মাণের কমর্ীর্ এবং ইঞ্জিনিয়ারেরা সিমেন্ট এবং ইস্পাত চুরি করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিতেন।

Advertisement

জাপানের আর একটি সংবাদপত্র জানিয়েছে, বহুতলটি বানানো হয়েছিল ওয়াকার্স পার্টির শীর্ষ কর্তাদের জন্য। বহুতলটির নির্মাণকাজটি পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই গত নভেম্বর থেকে সেখানে বসবাস করতে শুরু করেছিলেন বাসিন্দারা। বাসিন্দারা ভেবেছিলেন আর কিছু খুঁটিনাটি কাজ ছাড়া বহুতলটির আর সব কিছুই হয়ে গিয়েছে। কমপক্ষে ৯২টি পরিবার ওই বহুতলে বাস করছিলেন। কিন্তু বহুতলটি ভেঙে পড়ায় নিজেদের আপনজনকে হারিয়েছে বহু পরিবার।

আর দেশের মানুষের এই মৃত্যু যন্ত্রণায় ঘুম কেড়ে নিয়েছিল কিম জং উনের। কোরিয়ার একনায়ককে সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই দিতে প্রাণ দিতে হল চার ইঞ্জিনিয়ারকে।

এ বার হয়তো ঘুমোবেন কিম জং। শান্তির ঘুম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন