উত্তাল নিউ ইয়র্ক

বদলা নিতেই কি খুন দুই পুলিশকর্মী

দুষ্কৃতীর গুলিতে এ বার নিহত খোদ নিউ ইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার। ফের বর্ণবিদ্বেষ প্রসঙ্গেই অশান্ত আমেরিকা। প্রাথমিক অনুমান, গত জুলাই এবং অগস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত দুই কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গারনার এবং মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। ব্রুকলিন শহরে শনিবার বিকেলের ঘটনা। একই বন্দুকের গুলিতে আত্মঘাতী দুষ্কৃতীও। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দেশের কিছু অংশ থেকে অবশ্য বিপরীত প্রতিক্রিয়াও আসছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:২৬
Share:

রাফায়েল রামোস ও ওয়েনজিন লিউ

দুষ্কৃতীর গুলিতে এ বার নিহত খোদ নিউ ইয়র্ক পুলিশের দুই অফিসার। ফের বর্ণবিদ্বেষ প্রসঙ্গেই অশান্ত আমেরিকা। প্রাথমিক অনুমান, গত জুলাই এবং অগস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত দুই কৃষ্ণাঙ্গ এরিক গারনার এবং মাইকেল ব্রাউনের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা। ব্রুকলিন শহরে শনিবার বিকেলের ঘটনা। একই বন্দুকের গুলিতে আত্মঘাতী দুষ্কৃতীও। ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। দেশের কিছু অংশ থেকে অবশ্য বিপরীত প্রতিক্রিয়াও আসছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার সময় শহরের ব্যস্ত একটি রাস্তায় গাড়িতেই টহল দিচ্ছিলেন ওয়েনজিন লিউ এবং রাফায়েল রামোস নামের দুই অফিসার। ওয়েনজিন সাত বছর ধরে চাকরি করলেও, রামোস বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ২০১২ সালে। পুলিশের উর্দির কারণেই এই দুই অফিসারকে খুন হতে হল বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ কমিশনার উইলিয়াম ব্রাটন। পরিচয় মিলেছে আত্মঘাতী দুষ্কৃতীরও। ইসমাইল ব্রিন্সলে নামে বছর আঠাশের সেই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক বাল্টিমোরের বাসিন্দা। শুধু পুলিশ খুনের উদ্দেশ্যে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে ব্রুকলিনে আসে সে। ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির জানলা দিয়ে কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মারে দুই পুলিশকে। নিহতদের মাথা ও শরীরের উপরাংশে একাধিক বুলেট মিলেছে বলে দাবি ময়না-তদন্ত রিপোর্টে।ঘটনার দিনই প্রাক্তন এক বান্ধবীকেও খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ব্রিন্সলের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতি, রাহাজানি-সহ আরও নানা দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে বলে দাবি নিউ ইয়র্ক পুলিশের। দুই পুলিশকে গুলিতে ঝাঁঝরা করার পর পালাতে গিয়ে প্রথমে স্থানীয় একটি সাবওয়ে স্টেশনে গিয়ে আশ্রয় নেয় সে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলায়, আত্মঘাতী হয় ব্রিন্সলে।পুলিশের দাবি, ব্রাউন ও গারনার-হত্যার প্রতিশোধ নিতেই যে সে ব্রুকলিনে আসছে, সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে আগাম জানিয়ে রাখে ব্রিন্সলে। ইনস্টাগ্রামে ঘাতক সেই আধা-স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ডগানের ছবিও পোস্ট করে বলে পুলিশের দাবি।

গত কালই ব্রুকলিনের ঘটনার কড়া নিন্দা করেছিলেন ওবামা। আজ ফের দেশবাসীকে হিংসার রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন জানান উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট। বলেন, “এই ক্ষতি কোনও ভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। সারাক্ষণ যাঁরা আমাদের নিরাপত্তায় সজাগ, তাঁদের এ ভাবে মেরে ফেলার কোনও যুক্তিই থাকতে পারে না।”

Advertisement

বর্ণবিদ্বেষের জেরে এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরে রীতিমতো কোণঠাসা নিউ ইয়র্ক পুলিশ। এরিক ও ব্রাউনের মৃত্যু ঘিরে দেশের কিছু অংশে এখনও বিক্ষোভ চলছে। তার উপর আবার শনিবারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ নিউ ইয়র্ক পুলিশের একাংশ। দেশের মানুষের বিক্ষোভ সামাল দিতে প্রশাসন যথেষ্ট সক্রিয় নয় বলেই অভিযোগ তাঁদের। নিহত অফিসারদের স্মৃতির উদ্দেশে আজ বিশেষ শ্রদ্ধা দেখায় নিউ ইয়র্ক পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন