মৃত বেড়ে ৫৮, জাহাজে ঢুকলেন উদ্ধারকারীরা

চার দিন পর অবশেষে ডুবে যাওয়া জাহাজের অন্দরে ঢুকতে পারলেন উদ্ধারকারীরা। দক্ষিণ কোরীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জাহাজ থেকে রবিবার আরও ২৫টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৮। তবে এখনও ২৪৪ জন নিখোঁজ। কিন্তু জাহাজডুবির কারণ জানতে পারা যায়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৮
Share:

চার দিন পর অবশেষে ডুবে যাওয়া জাহাজের অন্দরে ঢুকতে পারলেন উদ্ধারকারীরা। দক্ষিণ কোরীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই জাহাজ থেকে রবিবার আরও ২৫টি দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ৫৮। তবে এখনও ২৪৪ জন নিখোঁজ। কিন্তু জাহাজডুবির কারণ জানতে পারা যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ধৃত ক্যাপ্টেন ও দুই কর্মীকে আরও কিছু দিনের জন্য আটক রাখার চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরীয় প্রশাসন।

Advertisement

গত বুধবার সকালে সমুদ্রে আচমকাই ডুবে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার এক জাহাজ। তাতে ৩৩৯ জন শিশু-সহ সফর করছিলেন ৪৭৬ জন যাত্রী। বেশ কিছু জনকে উদ্ধার করা গেলেও বেশির ভাগেরই খোঁজ পায়নি উদ্ধারকারী দল। অনেক বার জাহাজের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বাদ সেধেছিল প্রবল জলস্রোত। চার দিন পর আজই প্রথম জাহাজের ভিতর ঢুকতে সফল হলেন তাঁরা। নিখোঁজ যাত্রীদের আত্মীয়রা অবশ্য এ সব শুনতে নারাজ। যেখানে জাহাজডুবি হয়েছে, তার কাছেই একটি দ্বীপে গত চার দিন যাবৎ অপেক্ষা করছেন তাঁরা। কিন্তু এ দিন তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। প্রায় ১০০ জন আত্মীয় প্রেসিডেন্টের কাছে নিজের অভিযোগ জানাতে সোলের দিকে রওনা দেন। পথে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। সে সময় সংঘর্ষও হয়।

আত্মীয়দের আজকের প্রতিক্রিয়ার পিছনে অবশ্য অন্য কারণও ছিল। জাহাজ যখন ডুবছিল সে সময় কর্মীদের সঙ্গে ‘ভেসেল কন্ট্রোলার’-এর যা কথোপকথন হয়েছিল, তা এ দিন প্রকাশ্যে এসেছে। এবং তাতেই পরিষ্কার যে ক্যাপ্টেন সময় থাকতে যাত্রীদের বাঁচানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা করেননি। উল্টে প্রথা ভেঙে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আগেই নিজে জাহাজ ছেড়ে চলে যান। তা ছাড়া যে সময় ঘটনাটি ঘটেছিল, সে সময় কেন এক জন আনকোরা ‘থার্ড মেট’ জাহাজ চালাচ্ছিলেন, তার জবাবও মেলেনি। উপরন্তু কর্মীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, নিরাপত্তার প্রশিক্ষণ নেওয়া ছিল না তাঁদের। সব মিলিয়ে ‘দায়িত্বে গাফিলতির’ ছবিটাই স্পষ্ট হয়ে উঠছে তদন্তকারীদের কাছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন