Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
Durga Puja Celebration

ঘণ্টায় ৪০০ কিমি গতির বাইকে চড়তে চান!

অর্চিষ্মান সাহাপ্রায় অবাস্তব গতির বাইক এনে রেকর্ড গড়েছে কাওয়াসাকি কোম্পানি।

কাওয়াসাকি নিনজা. —ছবি: ফাইল চিত্র।

কাওয়াসাকি নিনজা. —ছবি: ফাইল চিত্র।

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:২০
Share: Save:

সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪০০ কিমি! ঠিক পড়েছেন, এরকমই প্রায় অবাস্তব গতির বাইক এনে রেকর্ড গড়েছে কাওয়াসাকি কোম্পানি। এইচ২আর বাইকের নাম,কাওয়াসাকি নিনজা সিরিজের সব চেয়ে কুলীন বাইক এটি।

Advertisement

কলকাতাতেও হাজির এই বাইক, তবে এটি কেনার জন্য আপনাকে প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে এবং চালানোর জন্য একটি রেসিং সার্কিটের প্রয়োজন, কারণ সাধারণ রাস্তায় এই বাইক নিষিদ্ধ!

গতির জন্যে বিখ্যাত কাওয়াসাকি। জাপানি এই কোম্পানি দীর্ঘ দিন ধরেই বিভিন্ন বাইক বানিয়ে চলেছে, পুরনো বলিউড সিনেমা হোক কি রোড র‍্যাশগেম, একাধিক কাওয়াসাকি বাইকের সঙ্গে আলাপ হয়ে যাওয়ার কথা সবার।

আরও পড়ুন: অপমানের জবাব! পাল্টা স্পোর্টসকার বানিয়ে ফেললেন ল্যাম্বরগিনি​

Advertisement

বিভিন্ন নামী দামি বাইক নির্মাতা যেমন হন্ডা, সুজুকি, বিএমডব্লিউ ডুকাটি, ইয়ামাহা— এদের সবার মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই লেগেই থাকে আরও বেশি, আরও দ্রুত বাইক বানানোর।দীর্ঘ দিন ধরে সুজুকি হায়াবুশা সব থেকে দ্রুত গতির বাইকের মধ্যে জায়গা করে রেখেছিল, এবার সেখানে নতুন করে নিজের জায়গা করে নেয় কাওয়াসাকি নিনজা এইচ২আর!

পৃথিবীতে সর্বোচ্চ গতির সেরা ১০টি বাইকের লিস্ট খুললে সেখানে অন্তত দুটো কাওয়াসাকির নাম দেখতে পাবেন, এইচ২আর এবং জেডএক্স১২আর, দুটোই নিনজা মডেলের অন্তর্গত।

এইচ২আর যদি সব থেকে দামি মডেল হয়, তার আরও বিভিন্ন মডেল আছে, এইচ ২, এইচ ২ কার্বন, এইচ ২ এসএক্স ইত্যাদি। ২০১৫-তে প্রথম যখন প্রকাশ পায়, সবাইকে চমকে দেয় এর লুক! অসম্ভব এরোডায়নামিক এই বাইকটি দেখেই মনে হয় প্রচন্ড ক্ষমতাশালী, রাগী কোনও রোবট, যেটা বাইকের আকারে বসে আছে।

আরও পড়ুন: পুজোয় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি কিনবেন? মাথায় রাখুন এ সব টিপস

আরও পড়ুন: তেলের দাম আগুন, বাইক কেনার আগে মাইলেজ দেখে নিন

১০০০সিসি-র এই বাইকের সব থেকে কম দামী মডেলটির দাম হল ২১ লক্ষ, ট্যাক্স বাদে! এই বাইক রাস্তার জন্য সুরক্ষিত, এর রাস্তায় চালানো নিয়ে কোনও নিষেধ নেই। কিন্তু সব থেকে দামী যে মডেলটি, যার স্পিড ৪০০কিমি/ঘণ্টার রেকর্ড, সেটি একেবারেই স্ট্রিট-লিগাল নয়, অর্থাৎ সাধারণ রাস্তায় সেটা চালানোর কোনও অনুমতি নেই।

এরকম দামি একটা বাইকের বৈশিষ্টগুলি চমকে দেওয়ার মতো।দামি মডেলে রয়েছে সুপারচার্জার, ফলে অল্প সময়ে আরও বেশি গতি লাভ করা সম্ভব। বাইকের নিজস্ব কম্পিউটারে আপনি দেখতে পাবেন কত ডিগ্রি হেলে বাইক ঘোরাচ্ছেন, উন্নতমানের ক্লাচ-গিয়ার কন্ট্রোল, ফলে মাত্র ২.৬ সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা স্পিডে পৌঁছে যাবেন।

অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম, ইঞ্জিন ব্রেকিং কন্ট্রোল, ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, লঞ্চ কন্ট্রোল— একাধিক রকমের কন্ট্রোল শুধু আপনাকে গতি নয়, প্রয়োজনীয় সুরক্ষাও দেবে চালানোর সময়।প্রায় ৩৩০বিএইচপি ক্ষমতাসম্পন্ন এই বাইক এই বছর আবার নতুন করে বাজারে হাজির। বুকিং শুরু হয়েছে পয়লা সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে, ২০১৯ নাগাদ ডেলিভারি শুরু হয়ে যাওয়ার কথা।

যদি টাকা বাধা না হয়, আর সব থেকে দ্রুত বাইকের স্বপ্ন থেকে থাকে, এর থেকে ভাল বাইক এই মুহূর্তে কোনও কোম্পানির তরফে হাজির নেই। আশা করা হচ্ছে, ২০২০-র মধ্যে প্রথমবার ৪২০বিএইচপির বাইক বাজারে দেখা যেতে পারে, তবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.