প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

ভবিষ্যতের ভারতে পরিবহণের সিংহভাগই হবে বৈদ্যুতিক যান  

গত পাঁচ বছরের কথা ভাবলে এ দেশে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল, অপ্রচলিত শক্তি বা ব্যাটারি-চালিত যানের সংখ্যা বেড়েছে।

পীযূষ নন্দী ও প্রকাশ পাল

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ১৩:০৩
Share
Save

বিশ্বব্যাপী বায়ু দূষণ বৃদ্ধির মোকাবিলায় সব দেশের সরকারই চাইছে যাতায়াত ব্যবস্থার একমাত্র মাধ্যমটিকে এমন এক প্রযুক্তির হোক, যা সকলের মঙ্গল করবে। পৃথিবী জুড়ে ক্রমেই কমছে জ্বালানী, বিশেষত খনিজের ভাণ্ডার। সেই প্রত্যক্ষ শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখতে বিকল্প শক্তির খোঁজে সারা বিশ্ব।

ইতিমধ্যে ভারতের পরিবহণ ব্যবস্থাতেও লেগেছে সেই যুগান্তকারী পরিবর্তনের ছোঁয়া। গত পাঁচ বছরের কথা ভাবলে এ দেশে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল, অপ্রচলিত শক্তি বা ব্যাটারি-চালিত যানের সংখ্যা বেড়েছে। সরকারের তরফে প্রস্তুতকারক ও ব্যবহারকারীদের উৎসাহ দিতে নানা সুবিধা ও ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা এর নেপথ্যে। এই ব্যবস্থায় এক দিকে যেমন ক্রেতারা ইলেকট্রিক ভেহিকলের দিকে ঝুঁকছেন, তেমনই প্রস্তুতকারকেরাও উৎসাহ পাচ্ছেন প্রযুক্তির ব্যবহারে নিত্য নতুন যানবাহন তৈরিতে। ফলে পরিবেশ রক্ষায় একটা দৃঢ় পদক্ষেপের অংশীদার তাঁরাও হয়ে উঠছেন।

আরও পড়ুন: ৫০ বছর আগের ভিন্টেজ-অনুভূতি ফিরিয়ে দেবে নিশান জেড প্রোটো

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সারা বিশ্বে ২০২৬ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক যান উৎপাদন বৃদ্ধির হার হবে ২৮ শতাংশ। আর এ ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নেবে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক যানবাহন প্রস্তুতকারক কর্পোরেট সংস্থাগুলি। অন্য দিকে, তাঁদের মতে, ভারতের বাজারে বিক্রির নিরিখে ২০৩০ সালে যানবাহনের বার্ষিক বিক্রির ৭ শতাংশ দখল করে নেবে ইলেক্ট্রিক ভেহিকল। ২০৪০ সালে সেটাই গিয়ে দাঁড়াবে ২৭ শতাংশে।এর মধ্যে ১৩ শতাংশই হবে যাত্রী পরিবহণকারী। সে দিকে লক্ষ রেখেই ভারত সরকার এই ইলেক্ট্রিক ভেহিকল উৎপাদনের ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করতে দু’টি গ্লোবাল টেন্ডার আহ্বান করেছে। পরিকল্পনা রয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে এই খাতে প্রায় ৮৭৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগের।

১৮৩৭ সালে এই ইলেক্ট্রিক ভেহিকলের জন্মের পরে ভবিষ্যতে এটি যে অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যাবে, সে দিন তা সারা বিশ্বে কেউ কল্পনাতেও আনতে পারেননি। সেই সময়ে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র চার মাইল ছুটতে পারত ৬ টন ভার নিয়ে, খুব বেশি হলে ৭ টন। আজকের ইলেক্ট্রিক ভেহিকলে গতি ও পণ্য পরিবহণ ক্ষমতা দেখলে অবাক না হয়ে পারা যায় না। সাম্প্রতিক সংস্থাগুলোর মধ্যে তেস্লা তো ছিলই, এর সঙ্গে জুড়েছে নিশান, শেভ্রলে, রেনল্ট, ফোর্ড, ভল্ভো, টয়োটার মতো গাড়ি প্রস্তুতকারকরা।

আরও পড়ুন: ভারতে গাড়ির নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে নিশান ম্যাগনাইট কনসেপ্ট

অনেকে মনে করেন, ইলেক্ট্রিক ভেহিকল রেখে দেওয়া ও তার ব্যাটারি চার্জ করা সময়সাপেক্ষ তো বটেই, খরচাসাপেক্ষও। এর থেকেও মুক্তি দিতে সরকারি তরফে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেগুলো ভবিয্যতে ব্যবহারকারীদের কাছে আরও সুবিধাজনক হয়ে উঠবে।

Kali Puja 2020 Electric vehicles Automobiles
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy