Advertisement
Durga Puja 2022

গিয়ারবক্স, টায়ারের যত্ন নিন, না হলে পুজো মাটি দু’চাকায়

প্রেমিকের কাঁধে হাত দিয়ে, বাইকে ঠাকুর দেখার অনুভূতিটা সত্যিই স্পেশাল!

ছবি: আই স্টক

ছবি: আই স্টক

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৬:৩৩
Share: Save:

‘এই পথ যদি না শেষ হয় তবে বাইক চড়লে বেশ হয়’’… ! পুজোর মরশুমে বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে কলকাতার প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরে ঠাকুর দেখার মজাটাই আলাদা। অনুভূতিটা কিছুটা যেন “এ স্বাদের ভাগ হবে না”। কিন্তু বাইকে করে এতটা পথ যাওয়া তো আর সোজা নয়। যে কোনও মুহূর্তেই বাইকের যান্ত্রিক সমস্যা হতে পারে। তখন কী হবে? জীবনটা তো আর সিনেমা নয়, আর আপনারাও উত্তম-সুচিত্রা নন!

কলকাতায় গাড়ি মেরামতের প্রচুর জায়গা আছে। তবে রাত- বিরেতে এমন সমস্যা হলে হাতের সামনে পাওয়া যাবে না কিছুই। তখন বিশেষ বন্ধুকে নিয়ে মুশকিলে পড়তে পারেন আপনি। আর নতুন নতুন প্রেম হলে তো ‘ফার্স্ট ইমপ্রেশন’-এরও একটা ব্যাপার থাকে। তাই ‘কী জন্ডিস কেস হয় ব্রহ্মা জানে’ হওয়ার আগে ভাল মতো পরিচর্যা করুন বাইকের। সঙ্গে রাখুন এই কয়েকটি জিনিস —

টপ বক্স ও এয়ার পাম্প মেশিন

বাইক নিয়ে অনেকটা দূর যাওয়ার জন্য এই দু’টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বাইক পাংচার যে কোনও মুহূর্তেই হতে পারে। ঠিক তখন হাতের কাছে কোনও মেকানিক নাও থাকতে পারে। রাতে এই রকম পরিস্থিতিতে বিপদ আরও বেশি। আপনার বন্ধুর সুরক্ষার দায়িত্বটাও আপনার। একটি টপ বক্স ও এয়ার পাম্প মেশিন থাকলে আপনি নিজেই সারিয়ে ফেলতে পারবেন পাংচার। অবশ্য আগে থেকে শিখে রাখা জরুরি।

ছবি: গেটি ইমেজ

ছবি: গেটি ইমেজ

ডিহাইড্রেশন প্যাক ও জল

দূরের সফরে ডিহাইড্রেশন খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই সঙ্গে রাখুন জল। শুনতে বোকা বোকা মনে হতে পারে — কলকাতার রাস্তায় কি জল নেই খাওয়ার! আলবাত আছে। কিন্তু বাইক চালানোর সময় জল খাওয়ার কথা অধিকাংশ আরোহিই উপেক্ষা করে যান। এ ছাড়া যে ডিহাইড্রেশন প্যাক কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলিও রাখতে পারেন কাছে। শরীরে জলের ঘাটতি হলে বাইক চালানোর সময় ঝিমুনি আসবে। সমীক্ষা অনুযায়ী সব থেকে বেশি বাইক দুর্ঘটনাও কিন্তু এই কারণেই হয়।

ইঞ্জিন, মোবিল ও এয়ার ফিল্টার

বাইক নিয়ে সফরে যাওয়ার আগে অতি অবশ্যই দেখে নিন গাড়ির এই কয়েকটি জিনিস। এয়ার ফিল্টার অপরিষ্কার থাকলে বাইকের মাইলেজ কমে যাবে। তেলের যা দাম, অল্প হলেও সাশ্রয় হবে যদি মাইলেজ ভাল দেয়।

মোবাইল হোল্ডার ও চার্জিং পয়েন্ট

আপনি যে মুলুকেই যান না কেন, পথে নেমে পথ হারানোটাই হলো পথিকের অন্যতম প্রাপ্তি। সেক্ষেত্রে এই গ্যাজেটগুলি ছোট হলেও অত্যন্ত উপকারী। মোবাইল হোল্ডার থাকলে অনায়াসেই জিপিএস দেখে এগিয়ে যেতে পারবেন আপনি। আর মোবাইলে চার্জ না থাকলে এই কাজই চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। তা ছাড়া বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগও তো করতে হবে! এ সব কিছুর জন্যই বাইকে একটা চার্জিং পয়েন্টও থাকা দরকার।

ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং হেলমেট

পুজোতে বিশেষ বন্ধুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাচ্ছেন মানেই আপনার সাজপোশাক কেতাদুরস্ত নিঃসন্দেহে, সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইল। এই সব দিকে নজর দিতে গিয়ে হেলমেট নিতে ভুলবেন না যেন। খেয়াল রাখবেন বন্ধুর মাথা যেন খালি না থাকে, সঙ্গে রাখবেন বাড়তি একটি হেলমেট। এতে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে পারবেন আর বন্ধুর কাছেও নিজেকে দায়িত্ববান প্রমাণ করতে পারবেন। আর ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য নথি ভুলে গেলে কী কী হতে পারে সেটা আপনিও জানেন।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE