টিআরপি তালিকার প্রথম পাঁচে নিজের জায়গা-জমি শক্ত করেই ধরে রেখেছে ধারাবাহিক ‘জগদ্ধাত্রী’। তবে জনপ্রিয়তা যেমন আছে, তেমনই আছে দায়িত্ব এবং ব্যস্ততা। পুজোর মুখে কোনও ফাঁকি নয়, জোরকদমে চলছে শ্যুটিং। রবিবারও নেই কাজ থেকে রেহাই! এমন কার-ই বা ভাল লাগে! অঙ্কিতা মল্লিকের অবস্থাও ঠিক তাই।
আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী বলেন, “একদমই উপভোগ করছি না সময়টা। খুব চাপ। সাধারণত যাঁরা ধারাবাহিকে কাজ করেন, সারাটা বছরই চাপের মধ্যে দিয়ে কাটাতে হয় তাঁদের। আর পুজোর আগে তো এই চাপটা দ্বিগুণ হয়ে যায়। তার মধ্যে আমাদের তো সাত দিনই সম্প্রচার। তাই প্রতি দিন শ্যুটিং। এমনকী রবিবারও। সেই সবের ফাঁকে অন্য কিছু করার সুযোগ খুব একটা হয়ে উঠছে না।”
পুজোর প্রস্তুতির নিয়ে ভাবারও কি সময় নেই নায়িকার? এক গাল হেসে অঙ্কিতা বলেন, “পরিকল্পনা বলতে আসলে কিছুই তেমন নেই। পুজোর ক’টা দিন যা একটু আরামে কাটাব।”
তবে ছেলেবেলার ‘পুজো পরিকল্পনা’টা যে এমন ছিল না, তা অকপটেই স্বীকার করে নেন তিনি। তাঁর কথায়, “তখন পুজো আসছে মানেই অন্য রকম একটা অনুভূতি। স্কুলে কবে ছুটি পড়বে, ক’টা জামা হল, কবে কোনটা পরব- সেই সব নিয়েই গল্প জমত।” পেশাগত জীবনে পা দেওয়ার পর কি একদমই পুজো উপভোগ করা হয়ে ওঠে না অঙ্কিতার? অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “এমনটা নয় যে পুজো ঘিরে একদমই উচ্ছ্বাস নেই। তবে কাজের চাপটা বেড়েছে। কিন্তু পুজোর সময়ে যতটা সম্ভব দারুণ ভাবে মজা করার চেষ্টা করি।”
আরও পড়ুন:
পুজোর ছুটিতে কি কলকাতাতেই থাকার পরিকল্পনা না অন্য কোথাও গন্তব্য? তিনি বলেন, “পুজোর সময়ে কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
টিভির পর্দায়ে ‘জগদ্ধাত্রী’ রূপে বরাবরই ‘নারীশক্তি’র পাঠ পড়িয়ে এসেছেন অঙ্কিতা। বাস্তবে এমন ‘দেবীশক্তি’ পেলে কী চাইতেন তিনি? সময় খরচ না করেই তাঁর জবাব, “আমি যেন ভাল থাকি আর তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমার চার পাশের মানুষ, যাঁদের ঘিরে আমার জীবন, যাঁদের আশীর্বাদ ও ভালবাসায় আমি আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছি, তাঁরা সকলে ভাল থাকুন। আনন্দে থাকুন আর সুস্থ থাকুন, এটাই কামনা।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।