পূরব শীল আচার্য।
এ বারের পুজোটা বেশ অন্যরকম। সারাক্ষণ গান আর ছবির মধ্যে থাকা পূরবের প্রথম ছবি, মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি, মুক্তি পেয়েছে গতকাল। বিশ্বাসই হচ্ছে না ওর। বন্ধুদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া, গল্প আর গান এই নিয়েই এত দিন পুজো কেটেছে, এ বারও তেমন কাটাতে চান তিনি নিজের মতো করে।
"এ বার পুজোয় ঠাকুর দেখার চেয়ে বেশি দেখতে হবে নিজের ছবি”— স্পষ্ট জানান পূরব। একবার বাবা-মা, আরেকবার বন্ধুদের সঙ্গে ছবিটা দেখা মাস্ট, জানালেন নিজেই।
বাবা মায়ের কেমন লাগছে? পূরব বলেন, "বাবা আর মা খুব এক্সাইটেড। এরকম তো হয়নি কখনও। পুজোর মধ্যেই ছবি মুক্তি পাচ্ছে, তাতে নিজে কাজ করেছি। আর অভিনয় যে করব, তা আগে কোনও দিন ভাবিনি।”
পূরবের বাবা, মা অর্থাৎ গায়ক শ্রীকান্ত আচার্য ও গীতিকার কবি অর্ণা শীল। গানের পরিবেশেই ছোট থেকে বেড়ে উঠেছেন পূরব।
বাবার সঙ্গে পূরব।
আরও পড়ুন: বিয়ের পর প্রথম পুজো শুভশ্রীর, সঙ্গী...
আরও পড়ুন: ‘‘মণ্ডপে নয়, পুজোয় রাতের কলকাতা বেশি পছন্দ,’’ বললেন ঋদ্ধি
সারাক্ষণ গানের মধ্যেই কাটান। পুজোতে ছবি মুক্তি পেলেও প্ল্যান কিন্তু বদলায়নি। খাওয়াদাওয়া আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা লিস্টে থাকছেই।
পূরব কি এ বারের পুজোয় নতুন জামাকাপড় নিয়ে বিশেষ কিছু ভেবেছেন?
কখনও ফ্যাশন নিয়ে ভাবেননি। মা যা দেবেন, সেটাই পরে বেরিয়ে পড়বেন। ঠাকুর দেখা নিয়ে খুব একটা উৎসাহ নেই তার। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর গান নিয়েই থাকবেন তিনি।
“গান এখনও আমার প্রথম প্রায়োরিটি, গান ছাড়া কিছু ভাবতেই পারছি না। তবে সুযোগ হলে আবারও অভিনয় করব। কারণ অনিন্দ্যকাকু মানে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাটা অসাধারণ।"
সব কিছুর মাঝে পুজোটা যে অন্যরকম হয়ে গেল, তা এখনও যেন ঠিক বুঝতে পারছেন না পূরব। আসলে লাজুক ছেলেটি একেবারে নিভৃতে নিজের মতো করে থাকতে চান পুজোয়।
ছবি সৌজন্য: অভিনেতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy