পরিচালক পাভেলের সঙ্গে উজান।
‘জাগো মৃণ্ময়ী চিন্ময়ী রূপে জাগো...’
অর্ণব দত্তের আবেগ ভরা নিবেদনে শুরু হল আড্ডা।
তাঁর টিমকে আলাপ করাতে গিয়ে পরিচালক পাভেল বললেন, ‘‘সুর আর অসুরের আড্ডা এটা। অর্ণবদা মুম্বইয়ের শিল্পী। ‘রসগোল্লা’-র মাধ্যমে ওর বাংলায় আত্মপ্রকাশ ঘটবে।’’
আরও পড়ুন: সপ্তমীতে তিয়াশা কী করছেন জানেন?
এই প্রথম এক সঙ্গে ‘রসগোল্লা’র টিম। নতুন জুটি উজান, অবন্তিকা। রজতাভ দত্ত। পরিচালক পাভেল। গায়ক-পরিচালক অমিত সুর। মৌসুমী। পাভেলের ‘রসগোল্লা’ যেন এক ঝাঁক নতুন প্রতিভার উৎসব।
‘‘নবীনচন্দ্র দাস যখন রসগোল্লা তৈরি করলেন তখন ছানা দিয়ে এই রসগোল্লার স্বাদকে জমাট বাঁধাতে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়েছিল তাঁকে। আমিও তো সেই নতুনকেই সেলুলয়েডে আনছি। তাই নতুনদের নিয়ে কাজ করেছি,’’ বললেন পাভেল।
রসগোল্লার পুরো সাউন্ডস্কেপ কালিকাপ্রসাদের করা। তিনি চলে গেলেও রসগোল্লার সুরসৃষ্টি থেকে গেল ‘রসগোল্লা’-র মধ্যে। কালিকাপ্রসাদের ভাবনায় ‘কাজল ভ্রমরা রে’ গানটি অমিত আর মৌসুমী আলাদা করে গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মায়ের শাড়িতে সেজে মাকে মনে পড়ছে স্বস্তিকার…
কালিকাপ্রসাদ আবার ফিরছেন!
‘রসগোল্লা’ মানে অনেক চমক।
বাংলা সিনেমায় দর্শক যেমন এই প্রথম বার উজান আর অবন্তিকাকে পাবেন তেমনই অর্ণব দত্ত আর মৌসুমীকেও শুনবেন। এই আড্ডা সেই নির্যাস বয়ে নিয়ে এল...
অমিত গাইলেন। তাঁর গানে ‘গৌরী এল’। আর মৌসুমী সুরেলা কণ্ঠে শোনালেন অসুরদলনীর গান। যতই পুজো আড্ডা হোক, পুজোয় নাটক, গান নিয়ে সকলে নস্ট্যালজিক হয়ে পড়লেন।
‘‘অনেক প্রতিভার প্রথম প্রকাশ পুজো প্যান্ডেলের মঞ্চে,’’ যোগ করলেন রজতাভ। উজান ডেটিংয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও মজা করে বললেন, অবন্তিকাকে নিয়ে ঘুরতে যেতে পারেন। ‘‘আমাদের কিন্তু দাদা আর বোনের সম্পর্ক হয়ে গেছে।’’ বললেন অবন্তিকা।
আরও পড়ুন: এ বছরের পুজো পায়েল-দ্বৈপায়নের কাছে স্পেশ্যাল, কেন জানেন?
উজান-অবন্তিকাকে জুটি হিসেবে দেখার জন্য উন্মুখ টলিউড।
উজান খোলামেলা। শুটের ফাঁকে ফাঁকৈ মজা করছিলেন তিনি। বিখ্যাত পরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রীর ছেলে— এই ব্যাগেজ তাঁর নেই। ‘রসগোল্লা’র সাউন্ডস্কেপ নিয়ে আর সকলের মতোই তিনি উত্তেজিত। বললেন, ‘‘পুরনো সময়ের সাউন্ডস্কেপ শুধু নয়, যে শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তাতেই পুরনো আমেজের আভাস পাওয়া যাবে।’’
কোনও ইলেকট্রনিক সাউন্ডের ব্যবহার নেই ছবিতে। ‘‘কালিকাদা আর আমি খুব সাবধানে গানের বয়ান সংলাপ লিখতাম। এমন শব্দ বাছতে হবে যেটা এখনকার লোক বোঝে। বার বার বই ঘাঁটতাম, কোনও শব্দ যেন এসে না যায়। শুধু কি শব্দ! একটা দারুণ শট হল, কিন্তু দেখা গেল পেরেক পড়ে আছে। আবার শট নিয়েছি।’’
আরও পড়ুন: পুজোয় পাঁচদিনের আলাদা-আলাদা প্রেম হয়েছে
উজান নিজে গিয়ে রসগোল্লা বানানো শিখেছেন। সঙ্গে পরিচালক। ‘‘আসলে মেকি মেকিই হয়। তিন বছর ধরে এই ছবির সঙ্গে আছি। সকলে অনেকখানি সময় দিয়েছে রসগোল্লার জন্য। এই সময় দেওয়া বিসর্জনের জলে কিছুতেই ভাসতে পারে না,’’ পাভেলের দাবি।
আপাতত পাভেল কলকাতার সব প্যান্ডেল চষে বেড়াচ্ছেন। পুজোয় এটাই তাঁর নেশা। আমিষ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন পাভেল। তাই পুজোর ঘোরাতেই তাঁর সব আনন্দ। অন্য দিকে, উজান আর অবন্তিকা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় মেতেছেন।
রজতাভ আর অর্ণব সম্ভবত পুজো ভোজে মন দিয়েছেন। অর্ণবের মনে পড়ছে ছোটবেলার গুপ্তিপাড়ার মেঠো পুজোর কথা। আর অমিত প্রবাসীদের গান শুনিয়ে মুগ্ধ করছেন।
আর আমরা? কলকাতার তিনশো বছরের ইতিহাস, নবীনচন্দ্রের প্রেম আর সংসার আর শীতকালে আবার দুর্গাপুজো দেখার লোভ নিয়ে ‘রসগোল্লা’র অপেক্ষায়...
মেকআপ: শেখ আজাদ আহমেদ
হেয়ার: শ্রাবণী দত্ত
স্টাইলিং: স্মৃতি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy