মুমতাজ সরকার।
এই বছর আমার পুজো কামিং উইকেন্ডে। কেন বলুন তো? আমি এখন অস্ট্রেলিয়ায়। সি়ডনিতে বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে এসেছি। আর ওদের এখানে তো উইকেন্ডে পুজো। আসছে শনি-রবিতে দুর্গাপুজো হয়ে যাবে এখানে।
আমি কিন্তু কলকাতা থেকে শাড়ি এনেছি। পুজোয় পরব বলে। পুজো মানেই এথনিক। বিদেশে আছি বলে পুজোয় শাড়ি পরব না, তা কিন্তু নয়।
পুজো বলতেই আমার মূলত দুটো জিনিস মনে পড়ে। এক পেটপুজো। শুধু তো দুর্গা মায়ের পুজো নয়। পেটপুজোটা মাস্ট। আমরা তিন বোন এই সময়টা খুব বাইরের খাবার খাই। মা যদিও খুব টেনশন করে। বলে, বাইরের তেল... খেলে শরীর খারাপ করবে। কিন্তু আমরা রোল, চাউমিন, ফুচকা খাবই...। কোথাও দাঁড়িয়ে, রাস্তার খাবার না খেলে পুজোর কোনও মানেই হয় না। এ বার এখানে একাই বেড়াতে এসেছি। ওরা সবাই কলকাতায়। খুব মিস করব...। কিন্তু পুজোয় কখনও বাইরে থাকিনি। ফলে এটাও একটা নতুন এক্সপিরিয়েন্স হবে।
আরও পড়ুন: রাত জেগে ঠাকুর দেখব, আর ভোগ খাওয়াটা মাস্ট...
আরও পড়ুন: পুজোতে মায়ের হাতের রান্না মিস করব, বললেন নয়না
আর একটা হল, পুজোর প্রেম। পুজোর কথা উঠলেই, প্রেমের কথাও থাকবে। আমার বাবা কিন্তু মাকে পেয়েছিলেন কোনও একবার দুর্গা পুজোর অষ্টমীর দিনেই। এই গল্পটা সকলেই জানেন। আমরাও তিন বোন এটা শুনে শুনেই বড় হয়েছি। ফলে পুজোর প্রেমটা ইমপর্ট্যান্ট। আর বাবা তো প্রতি বছর পুজোতে আমাদের চোখ মেরে বলে, দেখো এ বার প্রিন্স চার্মিংকে হয়তো পেয়েও যেতে পার...। হা হা হা...। কলকাতায় থাকলে হয়তো এ বারও বাবার কথা মেনে খুঁজতাম প্রিন্স চার্মিংকে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায়? নো ওয়ে... হা হা হা...।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy