আমার আর দ্বৈপায়নের পাহাড়-প্রীতির কথা জানেন না, এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সে প্রেম এতটাই জোরালো যে, ছেলের নাম পর্যন্ত রেখে দিলাম ‘মেরাক’- পাহাড় ঘেরা ছোট্ট গ্রাম। তাই এ বারের পুজোও কাটবে পাহাড়ের কোলে, উজ্জ্বল নীল আকাশ আর পরিবারের সঙ্গে।
ঠিক ছিল স্পেন যাব। কিন্তু করোনা তো সে সব মাটি করে দিয়েছে আগেই। অগত্যা সে প্ল্যান ক্যানসেল, হাজির প্ল্যান বি। ঘুরতে যাচ্ছি ঠিকই। তবে বিদেশে নয়, স্বদেশেই।
দার্জিলিঙের খানিক আগে সহজ সরল ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম চিত্রে। ২২ অক্টোবর রওনা হচ্ছি কলকাতা থেকেই। গোটা পুজো কাটিয়ে ফিরছি ২৯-এ। দ্বৈপায়ন আর মেরাক তো আছেই, সঙ্গে বাড়তি পাওনা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গ। ওঁরাও যাচ্ছেন সঙ্গে। এখান থেকে গাড়ি করে সোজা এনজিপি। সে খান থেকে আর এক গাড়িতে আমরা পাঁচ জন পৌঁছে যাব চিত্রেতে।
আরও পড়ুন: বাগডোগরার প্লেনের টিকিটটা শেষ মুহূর্তেও হয়ে যেতে পারে...
তবে একটা খটকা আছেই। ক’দিন ধরে শুনছি পাহাড়ে নাকি বৃষ্টি হবে। মেরাক ছোট, শ্বশুর-শাশুড়িরও বয়স হয়েছে। চিন্তা হচ্ছে খানিক। হে মা দুর্গা, সবটা সামলে নিও প্লিজ।
পাহাড়-প্রীতি থেকেই ছেলের নাম রাখলেন ‘মেরাক’।
গত বছর গিয়েছিলাম নেদারল্যান্ডস। ওখান থেকে জার্মানি। মেরাকের বয়স তখন ছ’মাস। ও বাবা! দিব্যি বাবা-মায়ের কোলে চেপে তিনি ঘুরে বেড়ালেন। কোনও ক্লান্তি নেই!
এ বছর মেরাকের সব জামাকাপড় কেনা কমপ্লিট। নিজের জন্য সে ভাবে কেনাকাটা করা হয়নি এখনও। ওই টুকিটাকি চলছে।
আরও পড়ুন: অবাক কাণ্ড, এই দুর্দিনেও পুজোর সব জোগাড় হয়ে গেল ঠিক ঠিক!
একটা সত্যি কথা বলব? আমি না এই বছর এবং আগামী বছর শপিং মল থেকে কিছু কিনব না ঠিক করেছি। তখন সবে আনলকডাউন শুরু হয়েছে। গড়িয়াহাট গিয়েছিলাম আবারও। জমজমাট গড়িয়াহাট পুজোর ঠিক এক মাস আগে খাঁ খাঁ করছে। দোকানিরা রীতিমতো মাছি তাড়াচ্ছেন। ক্রেতার জন্য হা-পিত্যেশ, তাঁদের অসহায় চোখ, আর উদাস দৃষ্টি... দাঁড়াতে পারছিলাম না ওখানে। জিনিসগুলো চটপট কিনে নিয়েই বাড়ি ফিরেছিলাম। তাই ঠিক করেছি যদি এ বার কিনতেই হয়, মল নয়, রাস্তার দোকান থেকে কিনব। আগামী বছরেও তাই। পুজো তো আমার একার নয়, ওঁদেরও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy