Advertisement
Sumana Das

Sumana Das: ‘টুম্পা’ বাজবে, আর সুমনা পোচ, মামলেট খাবে বিশেষ কারওর সঙ্গে

কাজের সূত্রে সারাক্ষণ নানা ধরনের পোশাক পরি, তাই পুজোর ক’দিন আমি শাড়িতে শারদসুন্দরী

‘টুম্পা’ কিন্তু বাস্তবেও পাত্র খুঁজছে! যে সুমনাকে সারা জীবন আগলানোর দায়িত্ব নেবে, আমি তার।

‘টুম্পা’ কিন্তু বাস্তবেও পাত্র খুঁজছে! যে সুমনাকে সারা জীবন আগলানোর দায়িত্ব নেবে, আমি তার।

সুমনা দাস
সুমনা দাস
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৭:৫৫
Share: Save:

গত বছরের পুজো ‘টুম্পা’র দখলে ছিল। ২০২০-র ৯ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল কনফিউজড পিকচার্সের 'রেস্ট ইন প্রেম' ওয়েব সিরিজের আইটেম গান ‘টুম্পা সোনা’। গানের ধাক্কায় সুমনা দাস জনপ্রিয়। যদিও ‘টুম্পা’ ইতিহাস তৈরি করেছে দীপাবলিতে। তার পর গত এক বছরে ‘টুম্পা’কে অনুসরণ করে একই ধরনের ৫-৬টি গান তৈরি হয়েছে। দেখে ভাল লাগছে। গর্ব হচ্ছে টিম ‘টুম্পা’র। একটি গান বা একটি চরিত্রের হাত ধরে আমার সেই জনপ্রিয়তা এ বছরেও অটুট। কোথাও গিয়ে দাঁড়ালে এখনও ফিসফাস শুরু হয়ে যায়, ‘‘ওই যে, টু্ম্পা!’’ আমার পুরুষ অনুরাগীদের চোখে এক সঙ্গে বিস্ময় আর প্রশংসাও দেখতে পাই। তাঁদের বলি, ‘টুম্পা’ কিন্তু বাস্তবেও পাত্র খুঁজছে! যে সুমনাকে সারা জীবন আগলানোর দায়িত্ব নেবে, আমি তার।

তা হলে কি জনপ্রিয়তার চাপে আগের মতো আর ঘুরতে বেরোবে না সুমনা?

অতিমারির কারণে প্যান্ডেলে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ। তাই আগের মতো মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরে দেখার সুযোগ এমনিতেই নেই। বদলে নির্দিষ্ট বন্ধু, সহ-অভিনেতাদের নিয়ে কারওর বাড়িতে বসে জমিয়ে আড্ডা দিলাম। কাছেপিঠের ঠাকুর যে একেবারে দেখিনি, তা নয়। তবে সেটাও হয়েছে ভিড় এড়িয়ে। অষ্টমী থেকে দশমী আমি খড়গপুরে, আমার বাড়িতে। মা-বাবার সঙ্গে, স্কুলের বন্ধু, আত্মীয়দের সঙ্গে আয়েস করে তিন দিন কাটাব। আসলে, সারা বছর ওঁদের কারওর সঙ্গে কথা, দেখাসাক্ষাৎ হয়ই না। পুজোর ছুটিতে ‘রথ দেখা কলা বেচা’ দুই-ই সারি। এ বছর বাইরে বেড়াতে যাওয়ারও খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু বৃষ্টি আর অতিমারির কারণে কাজ পিছিয়েছে। যা শুরু হবে লক্ষ্মীপুজোর পর থেকেই। ফলে, সেই আশাও পূরণ হল না।

যে সব বাঙালি খাবার সারা বছর খেয়ে ওঠা হয় না, পুজোয় সে সব পাতে থাকে আমার।

যে সব বাঙালি খাবার সারা বছর খেয়ে ওঠা হয় না, পুজোয় সে সব পাতে থাকে আমার।

এ বার খাওয়াদাওয়ার গল্প। পুজোয় কোনও বারই ডায়েটের ধার ধারি না। যে সব বাঙালি খাবার সারা বছর খেয়ে ওঠা হয় না, সে সব পাতে থাকে আমার। যেমন, মোচা, এঁচোড়। সারা বছর কাজের সূত্রে প্রচুর কেনাকাটা করতে হয়। এখন আর পুজোয় আলাদা করে কিছু কিনি না। বছরভর পাশ্চাত্য পোশাকে সাজতে সাজতে একঘেয়েমি এসে যায়। তাই পুজোর ক’দিন আমি শাড়িতে শারদসুন্দরী। কখনও জামদানি শাড়ির সঙ্গে হাতখোঁপা। তাতে ফুলের সাজ। কানে ঝুমকো। সিল্ক শাড়ি পরলে হয় খোলা চুল নয়তো উঁচু করে বেঁধে নিলাম। গলায় ভারী গয়না পরলে কান ফাঁকা থাকবে।

যতক্ষণ না বিয়ে হচ্ছে সুমনা যেমন ছিল তেমনই থাকবে!

যতক্ষণ না বিয়ে হচ্ছে সুমনা যেমন ছিল তেমনই থাকবে!

বাকি পুজো প্রেম। বিয়ে করে নিলে সুমনার পুজো প্রেমের কী হবে? আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, যতক্ষণ না বিয়ে হচ্ছে সুমনা যেমন ছিল তেমনই থাকবে! এমনও হতে পারে, পুজোয় এক দিকে ‘টুম্পা’ বাজবে। আর সুমনা বিশেষ কারওর সঙ্গে বসে বাদাম ভাজা, পোচ, মামলেট খাবে। বন্ধুরা একটু ছাড় দিলেই এ সব হতে কতক্ষণ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE