Advertisement
Durga Puja 2022

কলকাতার উল্লাস নয়, উন্মেষের কাছে পুজো মানেই বাঁকুড়ার লাল মাটির টান

ছোট বেলায় এক বার বাড়িতে বড় পাইপের মধ্যে চকলেট বোমা রেখে কামান তৈরি করেছিলেন উন্মেষ ও তাঁর বন্ধুরা।

উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়

উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:০০
Share: Save:

ঘোঁতনের কর্মকাণ্ড হোক বা যদুবাবুর টিউশানি- সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ‘বাঁকুড়া মিমস’-এর হরেক মজার ভিডিয়ো। সেগুলির মাধ্যমেই বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করে ‘বাঁকুড়া মিমস’। নেটপাড়ার বাইরে ‘বাঁকুড়া মিমস’-এর উন্মেষ গাঙ্গুলি ওরফে ঘোঁতনের জীবন কেমন কাটে? সেই গল্পেই বেরিয়ে এল পুজোর প্ল্যান।

উন্মেষের কাছে পুজো মানেই বাঁকুড়া। জাঁকজমকে মোড়া কলকাতার পুজো বরং তাঁর না-পসন্দ। এক সময়ে কাজের সুত্রে দীর্ঘ কয়েক বছর পুজোয় বাঁকুড়া থেকে দূরে থাকতে হয়ছে। তাই এখন আর উৎসবের দিনগুলোয় লাল মাটির গন্ধ ছেড়ে থাকতে চান না। বাঁকুড়ায় নিজের বাড়ির পুজো, পাড়ার পুজোতেই কেটে যায় উন্মেষের। ভিড়ে ঠাসা কলকাতায় ঠাকুর দেখার চেয়ে অষ্টমীতে পাড়ার সকলের সঙ্গে একসঙ্গে বসে খিচুরি খাওয়ার মজাটাই ঘোঁতনের কাছে অনেক বেশি প্রিয়, অনেক বেশি কাছের। সাবেক পাঞ্জাবিতে সেজে পাড়ার মণ্ডপে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডাতেই মজে থাকেন উন্মেষ।

পটকা, ক্যাপ বন্দুক নিয়ে মাতামাতিতে কেটে যেত ছোটবেলার পুজো। সারা বছর পড়ার চাপে খেলাধুলার সময় মিলত না। পুজোর ক’টা দিন সকাল থেকে তাই স্রেফ বন্ধুদের সঙ্গে মাঠে নেমে পড়া। বিকেলে চলত ফুচকা, পাপড়ি চাট।

উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়

উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়

ছোট বেলায় এক বার বাড়িতে বড় পাইপের মধ্যে চকলেট বোমা রেখে কামান তৈরি করেছিলেন উন্মেষ ও তাঁর বন্ধুরা। নতুন জামা কাপড় পড়ে দেদার ভিডিয়ো গেম। সেই খেলাই তখন বাস্তব হয়ে উঠত। কখনও বন্দুক ছুড়ছে কেউ, আহত হয়ে কেউ লুটিয়ে পড়ছে মাটিতে। এ ভাবেই মজাদার সব ঘটনায় কেটেছে ঘোঁতনের ছোটবেলার পুজো।

অতীতের পুজোতে অবশ্য প্রেমটা আর করা হয়ে ওঠেনি উন্মেষের। দূর থেকে ভাল লাগা, চোখে চোখ। ব্যস! ওই পর্যন্তই। এ বছরের পুজোটা অবশ্য ছোটবেলার থেকে ঢের আলাদা। বেশির ভাগ সময়েই আড্ডা আর ঘুমিয়ে কাটানোর পরিকল্পনা থাকলেও প্রেম এখন আর বাদের খাতায় নয়। সব কিছুর সঙ্গে সঙ্গে পুজোতে জীবনের বিশেষ মানুষটিকেও সমান ভাবে সময় দেওয়ার প্ল্যান রয়েছে উন্মেষের।

একান্তই নিজের জন্য তিনটি বর কী চাইবেন? ঘোঁতনের প্রথম চাওয়া আরও বেশি সাবস্ক্রাইবার হোক, যাতে ‘গোল্ড প্লে বাটন’ খুব তাড়াতাড়ি চলে আসে। এবং পুজোতে প্রচুর খাওয়াদাওয়া করেও যেন রোগা থাকতে পারেন। তিন নম্বরে রেখেছেন নিজের লেখাকে। আরও ভাল ভাল গল্প যেন উন্মেষের কলমে বেরোয়, সেই প্রার্থনাই জানিয়েছেন মা দুর্গার কাছে।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE