Advertisement
Durga Puja 2022

ভালবাসার কথা বলতে লজ্জা করে, তাই আজও সিঙ্গল! মা দুর্গার কাছে ‘বর’ চাইলাম বর হিসেবে!

‘মায়াকুমারি’ কি তবে চিরকুমারী থেকে যাবেন! 

অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষ

অভিনেত্রী অরুণিমা ঘোষ

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৪৯
Share: Save:

এক সময়ে পুজো মানেই ছিল উত্তর কলকাতার হৃষীকেশ পার্কের শারদীয়া। মণ্ডপে হইচই, নতুন জামা, ক্যাপ বন্দুকবাজি, ভাইবোনদের সঙ্গে খুনসুটি আর জমিয়ে ভোগ খাওয়া। আসলে ছোটবেলার পুজোর দিনগুলো সত্যি অনেক সরল ছিল। ভাইবোনদের সঙ্গে দেদার আনন্দ। এক দিন দাদুর সঙ্গে ঠাকুর দেখতে যেতাম সাউথের দিকে। এখন দক্ষিণেই বাস। বদল বলতে এইটুকুই। গত দু’বছর যা গেল, ঈশ্বরের কৃপায় এই বছরটা সকলে পুজোটা আনন্দে কাটাবে।

পুজোতে এখন আর ঠাকুর দেখা হয় না!

ছোটবেলায় মণ্ডপে ঠাকুর দেখার একটা উদ্যম, অপেক্ষা থাকত। এখন বাড়িতে থাকতেই বেশি ভাল লাগে। কোনও অনুষ্ঠান থাকলে যেতেই হয়। না হলে আমি বাড়িতেই পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে। পুজোর দিনগুলোয় আলাদা করে সাজতেও ভাল লাগে না। সারা বছরই সাজি আমরা। তবে ভোগ খেতে আমি খুব ভালবাসি। আর এই ক’দিন শাড়ি, সালোয়ারের মতো এথনিক পরতেই পছন্দ করি। পুজোতে যেমন বাংলা সিনেমা দেখব। অনেক ভাল কাজ হচ্ছে এখন। আমাদের ‘মায়াকুমারি’ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে।

সাদা পাঞ্জাবি পরা এক জনকে বেশ পছন্দ হলেও বলতে পারেন নি!

তখন ওই ক্লাস সেভেন-এইট হবে! অঞ্জলি দিতে গেছি প্রত্যেক বারের মতো। এক জন সাদা পাঞ্জাবি পরা সুদর্শন দাদাকে বেশ পছন্দ হল। কিন্তু কিছুই বলতে পারলাম না। আসলে আমি খুব লাজুক! তাই হয়তো এখনও সিঙ্গল!

প্রেমটাই করা হল না!

প্রেম… হয়েছে। তবে আমি ভাল লাগলেও প্রোপোজ করিনি কখনও। অন্য কেউ প্রোপোজ করেছে, সম্পর্ক-বন্ধুত্ব হয়েছে, আবার তা কেটেও গেছে। আর এখন তো মণ্ডপে গেলে চারপাশে মানুষের ভিড়! কেউ চাইলেও হয়তো প্রোপোজ করতে পারে না আমাকে। কী আর করব!

‘মায়াকুমারি’ কি তবে চিরকুমারী থেকে যাবেন!

কোন বাড়ি আছে, যেখানে বিয়ের চাপ নেই? আমার বাড়ি আলাদা নয় মোটেই। বিয়ে নিয়ে মা তো খুবই বলে। আজকাল মাকে বেশি সুযোগ দিই না এই নিয়ে কথা বলতে। সকাল ৭ টায় শ্যুটিংয়ে যাই, বাড়ি ফিরে খেয়ে স্নান করে ঘুম। বিয়ের ব্যাপারে আসলে আমি খুব পুরনোপন্থী। মন থেকে কাউকে ভাল লাগতে হবে, ভালবাসতে হবে। বিয়েটা চাপিয়ে দেওয়ার মতো বিষয় যেন না হয়।

এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।

হাতে বেশ অনেকগুলো ছবির কাজ এই মুহূর্তে। প্রত্যেকটির চরিত্র আলাদা রকমের। সাগ্নিক চট্টোপাধ্যায়ের ‘লেডি চ্যাটার্জি’ আছে। আছে ‘কীর্তন’, ‘মায়াকুমারি’… আমি বরাবরই বেছে কাজ করি। ‘লেডি চ্যাটার্জি’ তে আমি গোয়েন্দা আর ‘কীর্তন’-এ গৃহবধু। ‘কীর্তন’-এ পরান বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ। সেটে ঝগড়া লেগেই থাকতো। এই ছবিতে গৌরব চট্টপাধ্যায়ও আছে। ‘মায়াকুমারি’ ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে। আর ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে নতুন ছবির কাজ।

আর কী চাই! মা দুর্গা তো না চাইতেই সব দিয়েছেন! বর হিসেবে বরং একটা ‘বর’ই চাই। মা-ই পারবেন আমার মনের মানুষ খুঁজে দিতে। আর অবশ্যই চাই যাতে ছবিগুলো দর্শকের পছন্দ হয়, আমার কাজ যেন ভাল হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE