Advertisement
Priyam Ghose's Puja Memories

পুজোর সময় বনেদি বাড়িতে গিয়ে একটা কাণ্ড করার ইচ্ছে আছে প্রিয়ম ঘোষের!

এই আধুনিকতা ও সমাজমাধ্যমের যুগে কেমন রয়েছেন নামজাদা বাঙালি প্রভাবী প্রিয়ম ঘোষ? ২০২৩-এর পুজোকে ঘিরে তাঁর কেমন পরিকল্পনা রয়েছে?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২৯
Share: Save:

সমাজমাধ্যম প্রভাবী বা ইনফ্লুয়েন্সার কথাটির জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। এর মধ্যেই পুজোকে ঘিরে নানা রকমের ভিডিয়ো তৈরির ধুম পড়ে গিয়েছে। এই আধুনিকতা ও সমাজমাধ্যমের যুগে কেমন রয়েছেন নামজাদা বাঙালি প্রভাবী প্রিয়ম ঘোষ? ২০২৩-এর পুজোকে ঘিরে তাঁর কেমন পরিকল্পনা রয়েছে? জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।

প্রিয়ম বললেন, আজ অবধি প্রতি বছর কলকাতায় থেকেই পুজো কাটিয়েছেন, তার অন্যথা হয়নি কখনওই। তবে বয়সের সঙ্গে বাড়ছে কাজের চাপ, পাল্লা দিয়ে জনপ্রিয়তার চাপও বাড়ছে। যেমন, এই বছরই হয়তো পুজোর সময় কলকাতায় থাকা হবে না তাঁর! কিন্তু কেন? উত্তরে বললেন, ‘‘এই বছর বিশ্বকাপের উপস্থাপনার জন্য হয়তো বাইরে থাকতে হতে পারে। এখনও ঠিক জানি না, তবে চেষ্টা করব যদি কাজ শেষ করে কলকাতায় এসে পুজো দেখতে পারি।’’ পুজোর সময় কলকাতার উপর এত টান!

অন্য বছর কেমন কাটে তাঁর পুজো? উত্তরে প্রিয়ম ফিরে গেলেন নিজের ছেলেবেলায়। জানালেন, ‘‘জীবনের সতেরোটা বছর কলকাতার মিত্র বাড়িতে কাটিয়েছি, রাজবাড়ির পুজো বলে পুরোপুরি বনেদিয়ানায় ঘেরা থাকত আমাদের পুজোর দিনগুলি। কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা শিল্পী এসে বাড়িতেই বানাতেন মূর্তি, বাড়ির ছোটরা সবাই মিলে বসে হাত লাগাতাম আমরা।’’ আর এখন? প্রিয়ম জানালেন, ‘‘এখন বিগত কয়েক বছর ফ্ল্যাটে থাকি, মায়ের সঙ্গে। তাই পুজো মানেই আজকাল আবাসনের পুজো। এখনও যদিও প্রতি বছর চেষ্টা করি, বন্ধুদের সঙ্গে পুজোর সময় অন্তত এক দিন দেখা করে, আড্ডা দেওয়া, সময় কাটানোর। এই বছরও সেই রকম ইচ্ছে আছে।’

পুজোর সময়ের সেরা স্মৃতি বলতে কোন মুহুর্তগুলি চোখে ভাসে সব থেকে বেশি? “ছোটবেলায় সবাই মিলে বসে যখন প্রতিমা তৈরিতে সাহায্য করতাম বা অসুরের চুল বসাতে হাত লাগাতাম, সেই স্মৃতিগুলিই মনে আসে সবার আগে। তা ছাড়াও আমাদের বাড়িতে ভাসানের বিশেষ নিয়ম রীতি ছিল, পুজোর সময় বাড়ির পুরুষেরা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে হাতে লাঠি নিয়ে এক সঙ্গে হেঁটে কাঁধে করে প্রতিমাকে বয়ে নিয়ে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হত। তাঁর এক অন্যই রকম অনুভূতি ছিল”।

তা হলে পুজোর সময় কী কাজ থাকে, নাকি অখণ্ড অবসর? “এর আগে তো পুজোর সময় ঠিক করে রাখতাম যে এক দিনও কাজ করব না, এখন নানা সংস্থার শ্যুট থাকে, বা কাজও থাকে পুজোর দিনে। পুজোর সময় ভাল ভাল ভিডিয়ো বানানোর জন্য এখন অনেকেই রয়েছেন, তাই ভাল ভিডিয়ো বানানোর দৌড়ে টিকে থাকতে পুজোর দিনেও কাজ থাকে”। এই বছর দর্শকের জন্য নতুন কী আসছে তা হলে? প্রিয়ম জানালেন “আমি নিজে যেহেতু বনেদি বাড়ির পরিবেশে পুজো দেখে বড় হয়েছি, এই বছর আমি চাই সেই ধরনের ভিডিয়ো বানাতে, নানা বনেদি বাড়ির নানা রকমের রীতি নিয়ম তুলে ধরতে। পুজোর আগেই আমার সমাজমাধ্যমের পাতায় এসে যাবে এই কন্টেন্ট”!

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE