প্রতি বছরের মতো এই বছরও ধুমধাম করে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়েছিল অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের বাড়িতে। তবে এ বারের আনন্দ যেন একটু বেশিই ছিল, কারণ মেয়ে কৃষভিকে নিয়ে এটাই তাঁদের বাড়ির প্রথম পুজো।
আরও পড়ুন:
কালীপুজোর দিন অভিনেতাকে ধুতি, উত্তরীয়তে দেখা গেল। অন্য দিকে শ্রীময়ী চট্টরাজ পরেছিলেন নীল রঙের শাড়ি এবং গোলাপি ব্লাউজ়। সোনার গয়না এবং খোঁপায় গাঁদার মালায় অনন্যা লাগছিল তাঁকে। ছোট্ট কৃষভিকেও উৎসবের আমেজে দেখা গেল। এ দিন তার পরনে ছিল লেহেঙ্গা। বাবা-মায়ের কোলে বসেই প্রদীপ জ্বালাতে, পুজো দেখে সে।
বাড়ির পুজোয় এ দিন ঢাকের তালে কখনও একা, কখনও স্ত্রীর হাত ধরে জমিয়ে নাচেন অভিনেতা। কাঞ্চন জানান তাঁর পরনে থাকা ধুতি এবং উত্তরীয়টি তাঁর স্ত্রী তাঁকে উপহার দিয়েছেন। আর তিনি শ্রীময়ীকে কী উপহার দিয়েছেন জানতে চাইলে কাঞ্চন বলার আগেই অভিনেত্রী বলেন, ''আমাকে তো কোনও দিনই উপহার দেয় না, তাতে আক্ষেপ নেই, মেনে নিয়েছি। মেয়ের জন্য ধনতেরসে উপহার আসে, জামা আসে। আমাদের ঢাকির নাম মধু ঢাকি, ওর পাশে আমার জায়গা হয়েছে।" তবে যতই মশকরা করুন না কেন, তিনি এ দিন এও জানান, "সারপ্রাইজ গিফট পাই না, লং ড্রাইভ যেতে পারি না, যেহেতু আমার বর গাড়ি চালাতে পারে না। তবে যেটা পারে, কাঞ্চন আমায় খুব সুন্দর গান শোনায়, গল্পের বই পড়ে শোনায়। কাঞ্চন মাঝে মধ্যে অভিমান করে খুব মিষ্টি করে ঝগড়া করে।"
কালীপুজোর সাজে স্ত্রীকে কেমন লাগছে জিজ্ঞেস করা হলে কাঞ্চন মল্লিক বলেন, "আরে নেতিজেনদের কটাক্ষ শুনে বুঝতে পারেন না যে আমার বউ সুন্দরী। অন্যের মুখে বউয়ের প্রশংসা শুনে গর্ব বোধ হয়।" স্বামীর কথার রেশ ধরেই শ্রীময়ীকে বলতে শোনা যায়, "তবে আজ আমার বা আমার মেয়ের থেকে আরও এক জন সুন্দরী আছে, দারুণ সেজেছে আজ। আমার মা (কালী)। উনিই এই বাড়ির সব।"
কালীপুজোর দিনই শ্রীময়ী এবং কাঞ্চন দু’জনেই জানালেন যে তাঁরা চান না তাঁদের সন্তান অভিনয় জগতে আসুক। মা বাবা দুজনেই অভিনেতা, তার পরেও কেন এমনটা চান সেটা ব্যাখ্যা করে অভিনেত্রী বলেন, "অনিশ্চয়তার জন্য চাই না মেয়ে এই পেশায় আসুক। আমাদের প্রজন্ম বা পরবর্তী প্রজন্ম সহজে সব, অনেকটা পেয়ে যায়, কিন্তু ধরে রাখতে পারে না। সবটা খুব শর্ট টার্ম। বিষয়টা হাতি পোষার মতো হয়। আমরা ছয় মাস জমিদার, ছয় মাস জমাদার। আমি নিজে যা দেখেছি, আমি চাই না আমার মেয়ে সেটার মধ্যে দিয়ে যাক।"
কাঞ্চন-শ্রীময়ীর এ বারের বাড়ির পুজোর ভোগে ছিল খিচুড়ি, লাবড়া, বাঁধাকপি, পাঁচ রকমের ভাজা, চাটনি, পায়েস। এ দিন সকলের উদ্দেশ্যে দীপাবলির শুভেচ্ছাও জানান অভিনেতা। বলেন, "দীপাবলির শুভেচ্ছা, সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।"
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।