পর্দায় কখনও তিনি দুর্গা তো কখনও কালী। একাধিক বার আধ্যাত্মিক চরিত্রে ধরা দিয়েছেন পর্দায়। বাস্তবে দেবী কালীর সঙ্গে কতটা নিজেকে জুড়তে পারেন পায়েল সেটাই ভাগ করে নিলেন আনন্দবাজার ডট কমের সঙ্গে।
কালীর সঙ্গে তাঁর কতটা সংযোগ জানতে চাইলে পায়েল বলেন, “ছোট পর্দায় যে দেবী কালীর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি এটা একটা বিশাল বড় ব্যাপার। কিন্তু দেবীর সঙ্গে সেই অর্থে নিজেকে সংযোগ করা বলুন বা, নিজেকে তাঁর মতো করে গড়া, এই ক্ষমতা আমার নেই। আমার কাজ অভিনয় করা। অভিনয়ের মাধ্যমে লোককে বিনোদন দেওয়া হল আমার মূল টার্গেট। আমি যে খুব একটা পুজো করি সেটা নয়। আমি বিশ্বাস করি আমি যদি মানুষের জন্য সৎ ভাবে কিছু করতে পারি, নিজের কাজ, পরিবার বন্ধুদের প্রতি যদি সৎ থাকতে পারি তা হলে মনে হয় যেন ঈশ্বরকে কিছু নিবেদন করলাম।”
পর্দায় এত বার দেবী রূপে ধরা দিয়েছেন। কখনও অতিপ্রাকৃত কিছু অনুভব করেছেন কী? এই প্রশ্নে পায়েলের জবাব, “অতিপ্রাকৃত কিছু অনুভব করিনি, কিন্তু মা হওয়ার আগে খুব শুনতাম যে ‘মাদারলি ইনস্টিংক্ট’, স্পেশ্যাল একটা ইনস্টিংক্ট, সেটা এখন অনুভব করতে পারি। আজ যদি মেরাকের কিছু হয় আমি যত দূরেই থাকি না কেন, কোথাও না কোথাও গিয়ে ঠিক বুঝতে পারি। মায়ের মনটা যেন ঠিক বুঝে নেয়। আমার গর্ভাবস্থায়, মেরাকের জন্মের সময়, এখন যে ও বড় হচ্ছে সবেতেই অনেকে অনেক জ্ঞান দেয়, কিন্তু আমি সেটাই করি যেটা আমার অন্তর থেকে ঠিক মনে হয়। আমার ইনস্টিংক্ট যেটাকে ঠিক বলে। এটাকে যদি কেউ সুপার ন্যাচরাল ক্ষমতা বলে তা হলে তাই। কিন্তু আমি মনে করি আমার এই বোঝার ক্ষমতা হয়েছে সেটা কিন্তু হয়েছে, বা বেড়েছে মেরাক আসার পর।”
আরও পড়ুন:
পর্দায় নিজেকে দেবী রূপে তুলে ধরার আগে কতটা, কী ভাবে প্রস্তুতি নেন পায়েল? অভিনেত্রী বলেন, “আধ্যাত্মিক কোনও চরিত্রে আমি পাঠ করি, সে মহিষাসুরমর্দিনী বলুন বা মা কালী, সে ক্ষেত্রে বিশেষ প্রস্তুতি বলতে, এক তো একাগ্রতা প্রয়োজন হয় ভীষণ রকম। পরিচালক, লেখকের সঙ্গে আলোচনা করি। আমরা তো মা কালীকে কখনও দেখিনি। বইতে অনেক কিছু লেখা আছে, ব্যাখ্যা করা আছে। সেটা পড়ে, নিজের বুদ্ধি-অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, ওয়ার্কশপ হয় সেখান থেকে যা শিখি সবটা মিলিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করি। তবে আলাদা করে অনেকে যে নিরামিষ খান, আমি কিন্তু কখনও নিরামিষ খাই না। আমি কিন্তু ভীষণ রকম আমিষাসী।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।