দীর্ঘ দিনের প্রেমের গল্প এ বছর পরিণতি পেয়েছে বিয়ের আসরে। ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা জুটি শ্বেতা ভট্টাচার্য ও রুবেল দাস এখন নবদম্পতি। লাল বেনারসিতে শ্বেতা, সাদা কাজের পাঞ্জাবিতে রুবেল– তারকাখচিত সেই বিয়ের আসর এখনও অনেকের মনে টাটকা। সাবেক সাজে শ্বেতার লাবণ্য, আর বরযাত্রায় গানের তালে রুবেলের নাচ– সবটাই যেন হয়ে উঠেছিল ছবির মতো। সেই উৎসব পেরিয়ে এ বার আসছে আর এক উৎসব, বিয়ের পরে একসঙ্গে প্রথম দুর্গাপুজো।
নবদম্পতি হিসাবে প্রথম শারদীয়া। উত্তেজনা একটু হলেও আগের থেকে বেশি। সাজ থেকে শুরু করে ঘোরাঘুরি, সব কিছুর পরিকল্পনায় মশগুল দুই তারকা। শ্বেতার কথায়, “অষ্টমী আর দশমীর সাজে নতুন যোগ হয়েছে সিঁদুর, আমার কাছে সেটাই সব থেকে বড় অলঙ্কার।” পাশাপাশি, শাড়ির রং নিয়েও চলছে বিস্তর ভাবনাচিন্তা। হালকা রঙে ঝোঁক থাকলেও গাঢ় রঙকে এড়িয়ে যান না অভিনেত্রী। তবে কেনাকাটার ক্ষেত্রে আগে ভাবেন পরিবারের সবার কথা – শাশুড়ি, মা, আত্মীয়রা কে কেমন রঙ বা শাড়ি পছন্দ করবেন, সেই হিসেব কষেই কেনাকাটা। নিজের পালা একেবারে শেষে।
বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে? শ্বেতা অকপটে জানান, শুধু এ বছরের পুজো কেন, কোনও বছরেই পুজোতে শহর ছেড়ে কোথাও যেতে পছন্দ না তাঁরা। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি ভীষণ মজা করতে ভালবাসি। ঘরে বসে থাকলেও যদি কানে ঢাকের বাদ্যি আসে, তখন মনে হয়– হ্যাঁ, পুজো চলছে।”
পুজোতে কবে, কথায়, কোন দিকে ঘুরতে যাবেন তিনি? শ্বেতা স্পষ্ট জানালেন, আপাতত রুবেল ও তাঁর এত ব্যস্ত শ্যুটিং-এর সময়সূচি যে, এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। তবে শিগগিরিই তা ঠিক হবে।
বছরভর কাটে কড়া ডায়েটে। এই চারটে দিন তাই একেবারেই আপোস নয়। একেবারে কবজি ডুবিয়েই খাওয়াদাওয়া করবেন দু’জনে। রুবেল ফিটনেস ফ্রিক হলেও পুজোয় পেটপুজোতেই মন দেন, বলছেন শ্বেতা।
কবে রুবেলের সঙ্গে জুটিতে দেখা যাবে? শ্বেতা বলছেন, সবটাই নির্ভর করছে প্রযোজক-পরিচালকদের উপরে। ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করলে তিনি নিজে খুব খুশি হবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।