বোনের সঙ্গে বিক্রম
সকাল সকাল একটি ছবি দিয়ে মন ভাল করে দিয়েছেন বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ইনস্টাগ্রামে তিনি আর তাঁর এক মাত্র ছোট বোন মেঘা। দু’জনে দু’জনকে জড়িয়ে। ঝলমলে হাসি তাঁদের মুখে। বিশেষ দিনে বিক্রম-মেঘার বিশেষ বার্তা, ‘আমাদের তরফ থেকে আপনাদের সবাইকে ভাই ফোঁটার অনেক শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন।’
দাদাকে ফোঁটা দেবেন বলে পরিপাটি সেজেছেন বিক্রমের আদরের ‘মৌ’। কালো কুর্তি। সঙ্গে সাদা আর রানি রং মেশানো দোপাট্টা। কপালে মানানসই টিপ। প্রতি বছর কি এ ভাবেই সেজেগুজে দাদাকে ফোঁটা দেন মৌ ওরফে মেঘা? জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ফোঁটা নিয়েই ডাবিং-এ ব্যস্ত বিক্রম। এক ফাঁকে ফোনে বললেন, ‘‘মেঘার অনুভূতি খুবই প্রখর। ছোট থেকে তাই আমার বোনের কাছে ভাই ফোঁটা বাড়তি খুশি বয়ে আনে। আমি দরকারে কাজে ডুবে থাকতে পারি। বাইরে শ্যুট করতেও গিয়েছি। তখন বড্ড মন খারাপ করেছে ও।’’ তাই যে বছর বিক্রম কলকাতায় থাকেন সে বছর ফোঁটার সমস্ত আচার নিখুঁত ভাবে পালন করেন মেঘা। নিজে সাজেন। দাদাকেও সাজান।
আর থাকে খাওয়াদাওয়া। এ দিন অভিনেতার মামারা আমন্ত্রিত। বিক্রমের মা ফোঁটা দেন তাঁদের। সব মিলিয়ে সকাল থেকে বাড়ি সরগরম। তবে এ বছর পেটপুজো থেকে বাদ বিক্রম। ‘‘ডাবিং সেরে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। তাই এ বছর আর হুল্লোড় হল না!’’, আক্ষেপ তাঁর।
উপহার দেওয়া নেওয়া? সেটা নিশ্চয়ই বাদ যাবে না? এক দম ভিন্ন জবাব এল অভিনেতার থেকে, ‘‘পরে জন্মেছে, তাই মৌ আমার ছোট বোন। নইলে ও আমার মা! আমি ভুললেও ও ঠিক উপহার কিনবে মনে করে। আমার খুঁটিনাটি সব জানে। যেমন, আমি সুগন্ধি মাখতে ভালবাসি। তাই উপহারে ভাল সুগন্ধি দেয় অনেক সময়। কিংবা রোদচশমা। যা আমি প্রায়ই হারাই। আমার দরকারি জিনিসই উপহার হিসেবে দেয় আমায়।’’ আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে ভাইফোঁটায় বোনকে বিশেষ বার্তাও দিলেন ছোট পর্দার ‘রোদ্দুর’, ‘‘যেমন আছিস তেমনি থাকিস। একাধারে আমার বোন আর মা হয়ে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy