শ্যামাপোকার ‘কামব্যাক’ কি ঘটবে? রাস্তা-ঘাটে, হাট-বাজারে, দোকানে, রেস্তোরাঁয় এমনকী বাড়িতেও হেমন্তের শুরুর সময়টা শ্যামাপোকার উৎপাতে টেকা দায় হয়ে যেত। পোকার অত্যাচার ঠেকাতে আলোকে ঘিরে নিম, দেবদারুর পাতা-সহ ডাল লাগানো, মশারি টাঙানো হতো। চপ, চাউমিনের সঙ্গে বাঙালির পেটে যে কত শ্যামাপোকা গিয়েছে, তার ইয়ত্তা করা সম্ভব নয়!
ইদানিং দূষণ, উষ্ণায়ন, কৃষি জমিতে ব্যাপক হারে কীটনাশক প্রয়োগের কারণে ক্রমশ কমছে শ্যামাপোকার সংখ্যা। খুব আর্দ্র পরিবেশ ছাড়া শ্যামাপোকা বাঁচতে পারে না। জলবায়ু বদলের জেরে এখন সারা বছরই কমবেশি গরম থাকে। কলকাতার আশপাশে এখন আর ধান চাষ হয় না। সে কারণেও শহরে শ্যামাপোকার সংখ্যা কমছে। ঝোপ-জঙ্গল, জলায় শাম্যাপকার জন্ম হয়। শহর থেকে সেসব কবেই উধাও হয়ে গিয়েছে। শ্যামাপোকা থাকবে কী করে?
দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালা, বাজি পোড়ানো রীতির আদত কারণ কিন্তু এই সময়ে জন্মানো নানান ক্ষতিকারক পোকা দমন। কীট, পতঙ্গ কমলেও উৎসবের অঙ্গ হিসাবে রীতিগুলি থেকে যাবে। কিন্তু বাস্তুতন্ত্রের অংশ সকলেই। সহ-নাগরিক না হলেও, সহ-জীব তো বটেই। তাই আর একটু সচেতন হলে আগামী প্রজন্মরাও শ্যামাপোকাদের চোখে দেখতে পারবে। বইয়ে পাতা বা গানের কলিতে শ্যামাপোকা খুঁজতে হবে না। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy