প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Baba Baro Kachari Temple

ভূত-প্রেতকে নিয়ে বিচারে বসেন স্বয়ং ভূতনাথ, বাবা বড় কাছারি মন্দিরের প্রতি পরতেই যেন রহস্য!

এখানে কারা বিচার চাইতে আসেন? কী ভাবে চাইতে হয় বিচার?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ১১:১২
Share: Save:
০১ ১০
শহর কলকাতার পড়শি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝিকুরবেড়িয়া গ্রামে বাবা বড় কাছারি মন্দির। এটি শুধুমাত্র একটি জাগ্রত তীর্থক্ষেত্র নয়, একটি রহস্যময় লোককথার কেন্দ্রও বটে!

শহর কলকাতার পড়শি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঝিকুরবেড়িয়া গ্রামে বাবা বড় কাছারি মন্দির। এটি শুধুমাত্র একটি জাগ্রত তীর্থক্ষেত্র নয়, একটি রহস্যময় লোককথার কেন্দ্রও বটে!

০২ ১০
এই মন্দিরে শিবের পুজো হয়। কথিত, স্বয়ং মহাদেব 'ভূতনাথ' রূপে এখানে ভক্তদের আর্জির বিচার করেন!

এই মন্দিরে শিবের পুজো হয়। কথিত, স্বয়ং মহাদেব 'ভূতনাথ' রূপে এখানে ভক্তদের আর্জির বিচার করেন!

০৩ ১০
সেই কারণেই এই তীর্থ ক্ষেত্র বা মন্দিরের নাম 'বড় কাছারি'। যা অর্থ, বৃহত্তর আদালত।

সেই কারণেই এই তীর্থ ক্ষেত্র বা মন্দিরের নাম 'বড় কাছারি'। যা অর্থ, বৃহত্তর আদালত।

০৪ ১০
এই মন্দিরের অপর নাম 'ভূতের কাছারি'। লোকবিশ্বাস অনুসারে - এখানে যে বিচারসভা বসে, সেখানে নাকি ভূত-প্রেতের দল উপস্থিত থাকে! তাদের সামনেই বিচার করেন ভূতনাথ!

এই মন্দিরের অপর নাম 'ভূতের কাছারি'। লোকবিশ্বাস অনুসারে - এখানে যে বিচারসভা বসে, সেখানে নাকি ভূত-প্রেতের দল উপস্থিত থাকে! তাদের সামনেই বিচার করেন ভূতনাথ!

০৫ ১০
শহর কলকাতা থেকে এই তীর্থ ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সড়ক পথে সহজেই এখানে যাতায়াত করা যায়।

শহর কলকাতা থেকে এই তীর্থ ক্ষেত্রের দূরত্ব প্রায় ৩০ কিলোমিটার। সড়ক পথে সহজেই এখানে যাতায়াত করা যায়।

০৬ ১০
কিংবদন্তী অনুসারে, নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর শাসনকালে ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় মরাঠা বর্গী আক্রমণ শুরু হয়। সেই সময়ে হামলা থেকে বাঁচতে এই অঞ্চলের গ্রামবাসীরা শ্মশান সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেন। কিছু কাল পরে সেই জঙ্গলে এক সিদ্ধ পুরুষ বা সাধু এসে থাকতে শুরু করেন।

কিংবদন্তী অনুসারে, নবাব আলিবর্দী খাঁ-এর শাসনকালে ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় মরাঠা বর্গী আক্রমণ শুরু হয়। সেই সময়ে হামলা থেকে বাঁচতে এই অঞ্চলের গ্রামবাসীরা শ্মশান সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেন। কিছু কাল পরে সেই জঙ্গলে এক সিদ্ধ পুরুষ বা সাধু এসে থাকতে শুরু করেন।

০৭ ১০
জনশ্রুতি বলে, জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন তাঁদের কষ্ট ও সমস্যা নিয়ে ওই সাধুর কাছে যেতেন। সেই বাকসিদ্ধ সাধু নাকি তাঁদের নানা সমস্যার প্রতিকার করতেন এবং উপদেশ দিতেন।

জনশ্রুতি বলে, জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন তাঁদের কষ্ট ও সমস্যা নিয়ে ওই সাধুর কাছে যেতেন। সেই বাকসিদ্ধ সাধু নাকি তাঁদের নানা সমস্যার প্রতিকার করতেন এবং উপদেশ দিতেন।

০৮ ১০
এ ভাবে স্থানীয় মানুষজন নানা ভাবে উপকৃত হওয়ায় তাঁরা সেই সাধুকে স্বয়ং ভূতনাথের প্রতিভূ হিসাবে মান্য করতে শুরু করেন! শিব যেহেতু ভূত-প্রেতের অধিপতি, তাই এই অঞ্চলে শিবের এই রূপের মহিমা ছড়িয়ে পড়ে।

এ ভাবে স্থানীয় মানুষজন নানা ভাবে উপকৃত হওয়ায় তাঁরা সেই সাধুকে স্বয়ং ভূতনাথের প্রতিভূ হিসাবে মান্য করতে শুরু করেন! শিব যেহেতু ভূত-প্রেতের অধিপতি, তাই এই অঞ্চলে শিবের এই রূপের মহিমা ছড়িয়ে পড়ে।

০৯ ১০
পরবর্তীতে মরাঠাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনার পরে এক সময়ে সেই সাধু পুরুষের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা নাকি তাঁর দেহ দাহ না করে সেই শ্মশানেই তাঁকে সমাধিস্থ করেন। কিছু দিনের মধ্যে সেই সমাধিক্ষেত্র থেকে একটি অশ্বত্থ গাছ জন্মায়। স্থানীয়রা এই বৃক্ষকে সাধুর প্রতিমূর্তি হিসাবে মান্য করতে থাকেন এবং তার তলায় শিবলিঙ্গের পুজো শুরু হয়।

পরবর্তীতে মরাঠাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপনার পরে এক সময়ে সেই সাধু পুরুষের মৃত্যু হয়। গ্রামবাসীরা নাকি তাঁর দেহ দাহ না করে সেই শ্মশানেই তাঁকে সমাধিস্থ করেন। কিছু দিনের মধ্যে সেই সমাধিক্ষেত্র থেকে একটি অশ্বত্থ গাছ জন্মায়। স্থানীয়রা এই বৃক্ষকে সাধুর প্রতিমূর্তি হিসাবে মান্য করতে থাকেন এবং তার তলায় শিবলিঙ্গের পুজো শুরু হয়।

১০ ১০
আজও বিশ্বাস করা হয়, এখানে ভূতনাথের কাছে আবেদন জানালে তা অবশ্যই পূরণ হয়। ভক্তরা তাঁদের মনোবাঞ্ছা বা কোনও সমস্যার কথা একটি ছোট্ট কাগজে দরখাস্তের মতো লিখে লাল সুতোয় বেঁধে মন্দিরের দেওয়ালে বা অশ্বত্থ গাছের গায়ে বেঁধে দেন। এই দরখাস্তগুলিই আসলে 'বিচার' বা রায়দানের জন্য জমা করা হয়! ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)।  (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

আজও বিশ্বাস করা হয়, এখানে ভূতনাথের কাছে আবেদন জানালে তা অবশ্যই পূরণ হয়। ভক্তরা তাঁদের মনোবাঞ্ছা বা কোনও সমস্যার কথা একটি ছোট্ট কাগজে দরখাস্তের মতো লিখে লাল সুতোয় বেঁধে মন্দিরের দেওয়ালে বা অশ্বত্থ গাছের গায়ে বেঁধে দেন। এই দরখাস্তগুলিই আসলে 'বিচার' বা রায়দানের জন্য জমা করা হয়! ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy