Why Bengali and Non-Bengali Vishwakarma Celebrations Are Different dgtl
Vishwakarma Puja
কোথাও সুদর্শন তরুণ, আবার কখনও প্রবীণ গুরুগম্ভীর! বাঙালি ও অবাঙালি বিশ্বকর্মা রূপে এমন পার্থক্য কেন?
কখনও তিনি হাতির পিঠে বসা সুদর্শন তরুণ, আবার কখনও দাড়ি-গোঁফ যুক্ত তাঁর গুরুগম্ভীর চেহারা।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:১৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
১। কখনও তিনি হাতির পিঠে বসা সুদর্শন তরুণ, আবার কখনও দাড়ি-গোঁফ যুক্ত তাঁর গুরুগম্ভীর চেহারা।
০২১০
২। বাঙালি ও অবাঙালি বিশ্বকর্মার শুধু রূপেই পার্থক্য নেই, বরং দুই অবতারের বাহনও আলাদা। বাঙালিদের আছে হাতি, অন্য দিকে অবাঙালি বিশ্বকর্মার বাহন রাজহাঁস।
০৩১০
৩। ঋগবেদে বিশ্বকর্মা পূজিত হন সৃষ্টিকর্তা হিসেবে। ঠিক ব্রহ্মার মতোই। কিন্তু রূপের কেন এমন পার্থক্য?
০৪১০
৪। ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক এম এম আন্ডারহিল উল্লেখ করেছেন, এক সময়ে বিশ্বকর্মার কোনও মূর্তি ছিল না। একটি কলসকে পুজো করা হত দেবরূপে। পরবর্তীতে নবীন রূপ তৈরি করা হয় তাঁর।
০৫১০
৫। পৌরাণিক কাহিনিতে বলা হয়, বিশ্বকর্মা স্বর্গলোক নির্মাণ করেছিলেন। এই দেবতার প্রবীণ রূপ হল দাড়ি-গোঁফ যুক্ত গুরুগম্ভীর চেহারা।
০৬১০
৬। উত্তর ভারত, হিমাচল প্রদেশ এবং পশ্চিম ভারতে এই রূপেই পূজিত হন দেবতা।
০৭১০
৭। ঊনবিংশ শতাব্দীর পর বাংলায় শিল্প বিপ্লবের পর কারখানার যন্ত্রপাতি এবং শিল্প-শ্রমিকদের জন্য নতুন করে জন্ম নেন ‘নবীন বিশ্বকর্মা’।
০৮১০
৮। এর পরেই আসেন সুদর্শন বিশ্বকর্মা।
০৯১০
৯। যাঁর চার হাতে যন্ত্রপাতি। তিনি বসে আছেন হাতির পিঠে।
১০১০
১০। ইতিহাস গবেষকরা মনে করেন, কালের নিয়মে বদলাতে থাকা ধারণা, স্থানীয় সংস্কৃতির সঙ্গে হাত মিলিয়েই বদলেছে বিশ্বকর্মার রূপ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )