মায়ের চক্ষুদান পর্ব
মহালয়ায় দেবীর চক্ষুদান বহুকালের রীতি। চক্ষুদানের মধ্য দিয়েই হয় দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠা। কিন্তু সেই চক্ষুদানই যদি হয় এমন বিশেষ কিছু জনের মাধ্যমে যারা আর পাঁচ জন মানুষের থেকে চোখের মর্ম সব থেকে ভালো বোঝে, তাহলে কেমন হয়!
এই ভাবনাকে মাথায় রেখেই কাশী বোস লেন এবছর নিয়েছিল এক অভিনব উদ্যোগ। ৪৫ জন দৃষ্টিহীন শিশু, মায়ের চক্ষুদানের সরঞ্জাম, যেমন - রং, তুলি ইত্যাদি তুলে দিয়েছিল শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার হাতে। মাননীয় মন্ত্রীর হাত দিয়েই ঠিক দুপুর ১২ টার সময় সম্পন্ন হয় কাশী বোস লেনের এবছরের চক্ষুদান পর্ব। অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেনও এই সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
এই শিশুরা ব্রেইল পদ্ধতি দিয়ে উপলব্ধি করেছে চক্ষুদানের সমগ্র প্রক্রিয়াটি। তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল কিউআর কোড ব্রেইল স্ক্যানার পুজোর ভিআইপি পাস। তবে দৃষ্টিহীনদের জন্য এই ব্রেইল পদ্ধতির সুবিধা শুধুমাত্র মহালয়ার চক্ষুদান পর্বের জন্যই ছিলোনা বরং পুজোর প্রতিদিনই এই সুবিধা নিতে পারবেন দেখতে অক্ষম সকল বিশেষ ব্যক্তিরা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy