গত এপ্রিলের মর্মান্তিক পহেলগাঁও ঘটনার ক্ষত এখনও দগদগে। কাশ্মীরে জঙ্গী হামলার কারণে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জন নিরীহ পর্যটকদের। কেউ হয়েছিলেন পিতৃহারা, আবার কেউ চোখের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে দেখেছিলেন সদ্য বিবাহিত স্বামীকে। ২৬ জনের মৃত্যু হলেও স্বজনহারাদের যন্ত্রণা অনুভব করতে পেরেছিল গোটা দেশই। পহেলগাঁওয়ের সেই করুণ চিত্রই যেন আবার ফিরে এল বাগুইআটির ‘দ্য এক্সিকিউটিভ প্যালেস অ্যাপার্টমেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর গণপতি উৎসবের হাত ধরে।
এই বছর ৫ বছরে পা দিল তাদের এই পুজো। পহেলগাঁও ঘটনা এবং অপারেশন সিঁদুরকে মাথায় রেখেই সেজে উঠেছে এ বারের থিম। নাম, ‘বীর গণেশা: রক্ষা কে দেবতা’। এই সংস্থার সভাপতি অঙ্কিত আগরওয়াল আনন্দবাজার ডট কমকে বলেন, “পহেলগাঁওয়ের এই ঘটনাটি যখন ঘটে, তখনই আমি ভেবেছিলাম, কিছু তো করতেই হবে। গোটা মণ্ডপ জুড়ে তুলে ধরা হয়েছে এই ঘটনারই ছবি। একজন মহিলাকে দেখানো হয়েছে হাতজোড় করে বসে আছেন তিনি। প্রার্থনা করছেন, তাঁর স্বামীকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে পর্যটকরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড়চ্ছেন। এমনই টুকরো টুকরো ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে।”
অঙ্কিত আগরওয়াল জানান, তাঁদের পুজোর এই থিম উৎসর্গ করা হয়েছে দেশের স্বার্থে শহিদ হওয়া জওয়ানদেরও। তিনি বলেন, “আমরা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর ছবিও ফুটিয়ে তুলেছি এই প্যান্ডেলে। আমাদের এই থিমে কোনও রাজনীতির রং নেই।” নজরকাড়া এই মণ্ডপসজ্জার অন্দরে দেবী পার্বতীর কোলে বসে ছোট্ট গণেশ। জনপ্রিয় শিল্পী দীপঙ্কর পালের তুলির টানে সবটাই যেন পেয়েছে জীবন্ত রূপ।
অঙ্কিত বলেন, “আমাদের পাঁচদিন ব্যাপী পুজো হবে। ৩১ তারিখ বাপ্পার বিসর্জন। তার আগে হবে যজ্ঞ। গণেশের কাছে একটাই প্রার্থনা, আর যেন এমন মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে।”
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।