প্রস্তুতি চলছে
আদি কলকাতার বনেদি বাড়িগুলিতেই প্রথম দুর্গাপুজোর শুরু। পরবর্তীকালে বারোয়ারি পুজো এবং আরও পরে সর্বজনীন পুজোর চল শুরু হয়। উত্তর কলকাতায় এমনই এক সুপ্রাচীন সর্বজনীন দুর্গাপুজো করে সিমলা ব্যায়াম সমিতি। এই পুজো হয় স্বামী বিবেকানন্দের বাড়ির এলাকায়। ১৯২৬ সালে যার সূচনা করেছিলেন বিপ্লবী অতীন্দ্রনাথ বসু। সেই থেকে সিমলা ব্যায়াম সমিতির মাঠে শুরু হয় সর্বসাধারণের জন্য দুর্গাপুজো।
সিমলা ব্যায়াম সমিতির হাত ধরেই প্রথম এ শহরে প্রচলন হয় সর্বজনীন পুজোর। এই ক্লাবটি ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ঘাঁটি। এখনে শরীরচর্চা, লাঠি খেলা, ছুরি খেলা ইত্যাদির অনুশীলন করতেন বিপ্লবীরা। ব্রিটিশ সরকার ১৯৩২ সালে এই ক্লাবকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে পুজোও বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা উঠলে ফের পুজো শুরু হয়। তখন এর সভাপতি হন সুভাষচন্দ্র বসু।
ঐতিহ্যবাহী সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজোর এ বার ৯৯তম বর্ষ। থিম পুজো নয়, সাবেক ধাঁচেই পুজো হয় এখানে। প্রতিমা শিল্পী সনাতন পাল গড়ছেন সনাতনী মাতৃরূপ। সেই ভাবনা থেকেই পুজোর মণ্ডপসজ্জার নাম ‘রাজপ্রাসাদে সনাতনী’। মণ্ডপ সাজছে রাজবাড়ির আদলে। সেই প্রাসাদ তৈরি করতে মূলত ব্যবহার করা হচ্ছে প্লাইউড। এ ছাড়াও থাকবে পুরনো পিলার ও থার্মোকলের উপরে নকশা। তার উপরে হবে রং। মণ্ডপে পা রেখে মনে হবে যেন কোনও রাজবাড়ির নাটমন্দিরে এসে দাঁড়িয়েছেন। পুজোর উদ্বোধন হবে মহালয়ার দিনে, আগামী ২ অক্টোবর।
পুজোর প্রধান শিল্পী জয়ন্ত দাস আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, “থিমটা এমন কিছু নয়। সে ভাবে দেখলে এটাকে ঠিক থিম বলা যায় না। তবে থিমও বলতেও পারেন। সিমলা ব্যায়াম সমিতির ৯৯ বছরে আবেগের জায়গা থেকেই একটা রাজবাড়ির সাবেকিয়ানাকে ধরে একটু অন্য রকম কিছু করতে চাইছি।” জয়ন্তবাবু আরও বলেন, “বাইরের রাজ্য, যেমন রাজস্থান, ঝাড়খণ্ডের কিছু বিশেষ স্থাপত্য, কারুকার্যকে এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।”
প্রতিমা শিল্পী: সনাতন রুদ্র পাল
সভাপতি: রাজেশ কুমার সিন্হা
মণ্ডপসজ্জা: জয়ন্ত দাস, তৃষা ডেকরেটর্স
চেয়ারম্যান: সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
কী ভাবে যাবেন?
বিবেকানন্দ রোডের মোড় থেকে ডান হাতে গিরিশ পার্কের দিকে কিছুটা গেলে এসবিআই-এর বিবেকানন্দ রোড শাখা। ঠিক তার উল্টো দিকেই সিমলা ব্যায়াম সমিতির পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy