‘বাড়িতে সবচেয়ে বেশি কে ভালবাসেন?’ প্রশ্ন করলেই ছোট্ট শিশু মনের সহজ জবাব, “মা”। আর বাবা? তিনি বড্ড গুরুগম্ভীর, শাসনে রাখতে চান… কি, সম্মতিতে মাথাটা দুলে উঠল বুঝি? বাবাদের পরিচয় কি এখানেই সীমাবদ্ধ? না, প্রথম হাঁটতে শেখা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠা, জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপের ‘নেপথ্যে’ রয়েছেন যাঁরা, তাঁদেরকে ঘিরেই উদ্যাপন চন্দননগরের ডুপ্লেক্স পট্টির।
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আকর্ষণের অন্যতম কারণ। থিমের দিক থেকেই এই বছর নজর কাড়ল ডুপ্লেক্স পট্টির জগদ্ধাত্রী পুজো। ৬৩তম বর্ষে তাঁদের ভাবনা পিতৃসমাজকে ঘিরে। থিম, ‘নেপথ্যে’।
বাবাদের সমস্ত আত্মত্যাগ এবং ওঠাপড়ার কাহিনিই ফুটে উঠেছে মণ্ডপের ছত্রে ছত্রে। থিম ভাবনায় থাকা অজিত পালের মতে, এর আগে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বহুবারই থিমের কারুকার্যে উঠে এসেছে নারীদের আখ্যান। কিন্তু সেই তুলনায় পুরুষ অথবা পিতৃসমাজের চিত্র খুব কমই উঠে এসেছে। সেই দিক থেকেই পৃথকভাবে নজর কাড়ল চন্দননগর ডুপ্লেক্স পট্টির পুজো। তা হলে আর দেরি কীসের? বাবার সঙ্গে পুজো দেখার ফাঁকে বলে ফেলতেই পারেন, ‘কাউকে বলিনি আমি কোনওদিন মুখ ফুটে, আসলে তুমি আমার হিরো…’
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।