পুজো মানেই উৎসব, আনন্দ আর প্রাণের উচ্ছ্বাস। আর চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানে তো আলোর রোশনাই আর প্রতিমার বিপুল আয়োজন। কিন্তু এ বারের উৎসবে যেন এক রাশ মন খারাপের সুর মিশিয়ে দিল প্রকৃতি। পুজো শুরুর দিনেই বড়সড় বিপর্যয়ের সাক্ষী রইল চন্দননগর। কানাইলাল পল্লি এলাকার যে মণ্ডপটি ছিল এ বার অন্যতম মূল আকর্ষণ, বিকেলের হাওয়ার দাপটে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল সেই প্যান্ডেল এবং তার মধ্যের ৭৫ ফুটের সুবিশাল ফাইবার গ্লাসের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা।
এত উঁচু হওয়ার জন্যই হালকা হওয়াতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ঐতিহ্যবাহী পুজো মণ্ডপের একাংশ, তার সঙ্গে মাটির নয়, ফাইবারের সেই পেল্লাই প্রতিমাও। এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন সেখানে উপস্থিত দর্শনার্থীরা। চোখের পলকে ভেঙে পড়া বিশাল কাঠামোর নীচে চাপা পড়ে আহত হয়েছেন অন্তত সাত জন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য চন্দননগর হাসপাতালে পাঠানো হয়। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, মণ্ডপের উচ্চতা বেশি হওয়ায় হালকা হাওয়াতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে গিয়েছে।
বিপর্যয়ের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী। মেয়র রাম চক্রবর্তী জানান, ‘ভাগ্য ভাল যে কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। ঝড়ো হাওয়ার কারণেই এই বিপত্তি। পুলিশ, দমকল এবং সিভিল ডিফেন্সের দ্রুত তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে।’ আপাতত ওই পুজো মণ্ডপটি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুজোর এই ভরা মরসুমে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় কানাইলাল পল্লি এলাকায় নেমে এসেছে গভীর আতঙ্ক ও বিষাদের ছায়া।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।