নির্মল পুজোর ফলক হাতে চেতলা অগ্রণীর প্রধান উদ্যোক্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিম
পুজো আসে, পুজো যায়। বিসর্জনের সুরে প্রতিমার মাটি কালের নিয়মে আবার গিয়ে মেশে পৃথিবীর মাটিতেই। সঙ্গে অবচেতনে মেশে নানা রাসায়নিক যা দূষিত করে পৃথিবী মা’কে।
এই বছর মূলত, পরিবেশ সহ সামাজিক নানা দিক নিয়ে তৈরি হওয়া থিমগুলি প্রভাবিত করেছে ‘সেরাদের সেরা নির্মল পুজো পুরস্কার’-এর ভাবনাকে, স্পনসর্ড বাই দ্য বেঙ্গল ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক সাউথ এশিয়া এবং মাই কলকাতা। সেই সুবাদে আয়োজকদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে সারা বছর পরিবেশ সচেতনতা মূলক নানা উদ্যোগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন EnGIO সংস্থার পক্ষ থেকে সুজাতা বসু। পল্লী উন্নয়ন সমিতির পুজো জিতেছে সেরার শিরোপা। ৬৮ তম পুজোয় পাতা দিয়ে মন্ডপ তৈরি করে (লিফ আর্ট) সকলকে চমকে দিয়েছেন তারা। এই পুজোয় কলার খোসার মতো পরিবেশ বান্ধব সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপসজ্জা করে চেতলা অগ্রণী জিতে নিয়েছে ‘বেস্ট গ্রিন থিম পুরস্কার’। পুরস্কার পেয়ে খুব খুশি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম; চেতলা অগ্রণীর কান্ডারি। এই পুরষ্কারটি আসলে সেই নামহীন মানুষদের জন্য যারা বিগত কয়েক মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। জানালেন মেয়র। ইচ্ছা প্রকাশ করলেন পুনর্ব্যবহারের।
দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে হাতিবাগান নবীন পল্লী। উত্তর কলকাতার এই ক্লাবের মন্ডপ পরিকল্পনায় ছিল অব্যবহৃত সামগ্রীর পুনর্ব্যবহার। পরিবেশ সচেতনতা ও সুরক্ষার নিরিখে তৃতীয় পরস্কার জিতে নিয়েছে দক্ষিণ কলকাতার শিব মন্দির।
সেরা সামাজিক থিম এবং জনস্বাস্থ্য বিভাগে পুরস্কৃত হয়েছে অশ্বিনীনগর বন্ধু মহল। রানাঘাট রেল স্টেশন এলাকায় যে মহিলাকে কেন্দ্র করে পুজো মণ্ডপটি তৈরি হয়েছে তিনি গত আট বছর ধরে প্রায় ১০০জন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আসছেন করোনা পরিস্থিতিতেও তার অন্যথা হয়নি। এ ছাড়া তরুণ প্রজন্মকে নেশার পথ থেকে দূরে রাখতেও এই ক্লাব এগিয়ে থাকে সর্বদা।
‘বেস্ট পাবলিক হেলথ’ বিভাগে জয়ী হয়েছে সুরুচি সংঘ। সমাজকে কতটা প্রভাবিত করেছে করোনা মহামারি- এই বিষয়টিই ফুটে উঠেছে মন্ডপের থিম সজ্জায়।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy