কলকাতার একেবারে উত্তর প্রান্তের বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম - দক্ষিণপাড়া দুর্গোৎসব কমিটির আয়োজন। পুজোর বয়স ৬৫ বছর।
৬৫তম বর্ষে এই পুজোর থিম 'প্রবাহী' (দ্য ফ্লো উইদিন)। নামকরণ থেকেই স্পষ্ট, এখানে এমন এক অন্তর্নিহিত যাত্রার কথা বলা হয়েছে, যা কখনও থামে না।
সংগৃহীত চিত্র।
অনন্য এই বিষয় ভাবনার নেপথ্যে যিনি রয়েছেন, তিনি শিল্পী দেবাশিস বারুই। পুজোমণ্ডপ গড়ে তুলতে দেবাশিস মূলত লোহার শক্তপোক্ত কাঠামো ব্যবহার করছেন। সঙ্গে কাঠ-সহ অন্যান্য সামগ্রী কাজে লাগানো হচ্ছে।
যে মাঠে এই পুজো হয়, তার পিছনেই রয়েছে একটি স্থায়ী মণ্ডপ। অস্থায়ী পুজোমণ্ডপের সঙ্গে এ বছর সেই পাকা মণ্ডপটিকেও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
পুজোমণ্ডপটি আকারে বিরাট হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের যাতে যাতায়াতে কোনও সমস্যা না হয়, কিংবা কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জরুরি পরিষেবায় যাতে বাধা না পড়ে, সে দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছেন দেবাশিস।
সংগৃহীত চিত্র।
এ বছরের পুজোয় প্রতিমা গড়ার দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী সৈকত বসু। মণ্ডপের গড়ন ও গঠনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই প্রতিমা গড়া হচ্ছে।
পুজোমণ্ডপকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আলোকসজ্জার উপরে। এ বারের আলোকসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী প্রেমেন্দুবিকাশ চাকী।
প্রেমেন্দু জানিয়েছেন, আলোকসজ্জার ক্ষেত্রে অন্ধকার ও ছায়ার ব্যবহারের উপরে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।