Advertisement
Durga Puja 2023 Theme

বীরভূমের হাটসিরিঙ্গির ঘর এখন বাইপাসে

ইতিহাস বলছে, বাংলার ঘরে ঘরে দুর্গাপুজো প্রথম চালু করেন বীরভূমের হাটসিরিঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা। মায়ের মূর্তি তৈরির লোকের অভাবে পটে আঁকা দুর্গা প্রতিমার পুজো হত সেখানে।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০৬
Share: Save:

পূর্বাচল ক্লাবের আদি দুর্গাপুজোয় ক্লাব সদস্যদের সিংহভাগ আধিপত্য, পাড়া-প্রতিবেশীদের নয়- এমনই অভিযোগ তুলে বছর পনেরো আগে একটা পুজো ভেঙে চার টুকরো হয়ে গিয়েছিল। তারই একটি, পূর্বাচল শক্তি সঙ্ঘ এ বার ১৫ বছরে পা দিল।

এ বার থিম 'সর্বজনের দুর্গাপুজো'। ক্লাবের সাধারণ সচিব নীলাঞ্জন সরকার আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন এ বারের পুজোর ভাবনার খুঁটিনাটি। থিম শিল্পী পার্থ সেনগুপ্ত প্রতিমাও গড়ছেন। পুরো পরিকল্পনা তাঁরই।

কলকাতা তথা বাংলায় এক কালে শুধু জমিদারবাড়ি অথবা বিত্তশালীদের বাড়িতে দুর্গাপুজো হতো। বাদবাকি মানুষের তাতে যাওয়ার অধিকার ছিল না সে ভাবে। এই সমস্যা সমাধানেই ক্রমশ বাড়ি-বাড়ি পুজো, বারোয়ারি পুজো, সর্বজনীন পুজো হয়ে বর্তমানে পুজো বিশ্বজনীন। এই পুরো সফরটা মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। বারোয়ারি পুজো প্রথমে অবশ্য জগদ্ধাত্রী পুজো রূপে হয়েছিল। বরং ইতিহাস বলছে, বাংলার ঘরে ঘরে দুর্গাপুজো প্রথম চালু করেন বীরভূমের হাটসিরিঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা। মায়ের মূর্তি তৈরির লোকের অভাবে পটে আঁকা দুর্গা প্রতিমার পুজো হত সেখানে। সেই থেকে আজও হাটসিরিঙ্গিতে শারদীয়ায় বাড়ি-বাড়ি মূর্তি পুজোর বদলে পটে আঁকা দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। এঁদের প্যান্ডেলে তেমনই পটচিত্রের মাধ্যমে হাটসিরিঙ্গি গ্রামের বাড়িঘর তুলে আনা হয়েছে।

ভাবনা : সর্বজনের দুর্গাপুজো

ভাবনায় ও প্রতিমা শিল্পী : পার্থ দাশগুপ্ত

কী ভাবে যাবেন : গড়িয়াহাট থেকে রুবি হাসপাতালের মোড়। সেখান থেকে ডান দিকে ঘুরে অভিষিক্তা হাউসিং কমপ্লেক্সের ডান দিকের রাস্তায় এই পুজো।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja Theme Durga Puja Pandal Hopping
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE