কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে দেবী লক্ষ্মীর সঙ্গে সঙ্গে পূজিতা হন দেবী সরস্বতীও। আশ্বিনের পূর্ণিমায় ঝাড়গ্রামের বিনপুর ২ ব্লকের হাড়দা গ্রামে একই চালায় লক্ষ্মী-সরস্বতীর আরাধনা চলে। দুই দেবীর মাথার উপর থাকেন নারায়ণ। লক্ষ্মী ও সরস্বতীর দু’পাশে চার জন সখী থাকেন। তাঁদের ‘লুক-লুকানি’ বলা হয়। আয়োজকদের দাবি, নারায়ণের দুই স্ত্রী, লক্ষ্মী এবং সরস্বতী। তাই সে ভাবে মূর্তি গড়া হয়। আদতে এই মূর্তি লোকায়ত দর্শনের ফসল। এই ব্যতিক্রমী লক্ষ্মী প্রতিমাকে দেবী লক্ষ্মীর লৌকিক রূপ।
পুজোর বয়স ১৬৩ বছর। জনশ্রুতি রয়েছে, ১৮৬২ নাগাদ গ্রামের অক্রুর মোড়ল স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই বিশেষ ধরনের প্রতিমায় পারিবারিক কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো শুরু করেন। সাহা, মণ্ডলদের পারিবারিক পুজোই এখন সর্বজনীন পুজোর আকার নিয়েছে। স্থায়ী লক্ষ্মী মন্দির তৈরি হয়েছে। আশ্বিনের কোজাগরী পূর্ণিমাকে ঘিরে হাড়দা গ্রামে পুজো-উৎসব চলে। প্রতিপদের ভোরে পুজো শেষ হয়। কৃষ্ণ তৃতীয়ায় ঘট বিসর্জন হয়। কৃষ্ণপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তার পর কাঠামো তুলে রাখা হয়। প্রতি বছর একই কাঠামোয় প্রতিমা গড়া হয়।
পুজো উপলক্ষে দিন পাঁচেকের উৎসব আয়োজিত হয়। মেলা বসে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। হাড়দার মেলার জিলিপিরও খ্যাতি রয়েছে। জিলিপির টানে ভিড় জমে মেলায়। বিউলির ডাল ও আতপ চালের গুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি হয় জিলিপি। তবে দেবীকে কিন্তু জিলিপ দেওয়া হয় না। দেবীর নৈবেদ্যে থাকে ছোলার ডালের বেসনে তৈরি বুটের নাড়ু, লুচি ও সুজি।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।