পুজোর শুরু ১৯৪৪ সালে। এই বছর বয়স ৭৯ বছর। হাওড়ার এই পুজোয় এই বছরের থিম ‘ঈশ্বর ও ঈশ্বরী’।
বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সৃষ্টি ‘অন্নপূর্ণা ও ঈশ্বর পাটনী’। ভারতচন্দ্র রায়গুণাকারের এই সৃষ্টি যেমন বাংলা সাহিত্যের রসদ জোগায়, তেমনই এটি থেকেই এই বছরের মণ্ডপ সজ্জার রসদ জুগিয়ে নিয়েছে হাওড়া ছয়ের পল্লির পুজো। এই গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’। তা নিয়েই এই বছরের মণ্ডপ সজ্জা।
বাঁশ, কাঠ এবং চট দিয়ে রং করে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ। ধান, কুলো, ঝোরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হচ্ছে মণ্ডপ সজ্জায়। তবে যা ব্যবহার করা হচ্ছে, তার সব কিছুই প্রাকৃতিক বস্তু। প্রকৃতির ক্ষতি করে এমন কোনও কিছুই এই মণ্ডপে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তবে থিম পুজো হলেও মাতৃ প্রতিমা সাবেকি থাকছে।
পুজোর সম্পাদক রাজকুমার কুন্ডুর কথায়, ‘‘অন্নপূর্ণা যে বরদান করেছিলেন তাই নিয়েই আমাদের মণ্ডপ সজ্জা। আশা করি মানুষের পছন্দ হবে।’’
কী ভাবে যাবেন?
হাওড়া কদমতলা পাওয়ার হাউস বাস স্টপে নেমে নরসিংহ দত্ত রোড ধরে তারাসুন্দরী বিদ্যাভবনের দিকে যাওয়ার পথে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই বাঁ হাতে ঢুকে গিয়েছে যোগীন মুখার্জ্জী লেন। সেখানেই পুজা মণ্ডপ।
থিম- ঈশ্বর ও ঈশ্বরী
থিম শিল্পী- জ্যোতির্ময় পাত্র
প্রতিমা শিল্পী- প্রদীপ রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy