সালটা ১৯২৩। স্বাধীনতার জন্য উতপ্ত দেশের রাজনৈতিক অবস্থা। সেই সময় মধ্য হাওড়ার বিপ্লবীদের হাত ধরে গড়ে ওঠে হাওড়া সেবা সঙ্ঘ। পুজো শুরু হয় ১৯২৭ সালে। নেতাজির এই ক্লাবে এসেছেন। এমনকি নেতাজি তাঁর অর্ন্তধান আগে এখানে সভাও করে যান।
এই ঐতিহ্যশালী ক্লাবের পুজো ৯৪ বছরের। স্বাধীনতার আন্দোলনের যুক্ত থাকার জন্য ইংরেজ সরকার ১৯৪২-১৯৪৪ সাল পর্যন্ত পুজো বন্ধ করে দেয়। এর পর ঘট পুজোর পর ফের পুজো শুরু হয়।
এহেন ঐতিহ্যশালী ক্লাবে থিমের ছোঁয়া কোনও দিনও লাগেনি। এবারও ঐতিহাসিক গুরুত্ব, নিজেদের পরম্পরা তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিমা ২২ ফুটের একচালার। শোলার সাজের প্রতিমা। ঢালাই করা ঠাকুর দালানে দেবী মূর্তি তৈরি করা হয়।
এই পু্জোতে আলাদা করে কোনও পুজো মণ্ডপ বানানো হয় না। পুজোর উদ্বোধন করা হবে চতুর্থীর দিন। মহালয়ার দিন থেকেই অবশ্য এই ক্লাবের বিভিন্ন অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। এই দিন থেকেই আবৃত্তি, বানান ঠিকের মতো প্রতিযোগিতা করা হয়। ষষ্ঠীর দিন বিকেল বেলায় বস্ত্র বিতরণ করা হবে। সপ্তমী, অষ্ঠমী, নবমী, এই তিন দিনই ভোগ বিতরণ করা হয়। দশমীর দিন প্রতিমা নিরাঞ্জন করা হয়।
এবারও তাই করা হবে। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাত্ত্বিক মিত্র বলেন, ‘‘ আমাদের কাছে পুজো মানে শুধু পুজেোই। অন্য কিছু পুজোর ক্ষেত্রে ভাবতে পারি না। এই পুজো মধ্য হাওড়া সবচেয়ে পুরনো পুজো। নিজেদের ঐতিহ্য মেনেই এবার পুজো করা হবে”।
প্রতিমা শিল্পী- দিলীপ রাম
যাবেন কী করে- হাওড়া স্টেশনে নেমে কদমতলাগামী বাসে হাওড়া ময়দান হয়ে পঞ্চাননতলা রোড হয়ে পাওয়ার হাউস বাসস্টপ। সেখানে নেমে একটু হেঁটে বাঁ দিকে তারা সুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবন ফেলে রেখে বাঁ দিকেই পরবে হাওড়া সেবা সঙ্ঘের পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।