প্রায় একশো বছরের আগের কথা। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী নবদ্বীপের ভাঙা রাসের মেলা দেখতে যান। সেখানে মা কালীর এক বিরাট মূর্তি দেখে তাঁর মনে ইচ্ছা জাগে মায়ের পুজো করার।
যেমন ভাবা তেমন কাজ!
বাড়িতেই কালীপুজো শুরু করেন তিনি। দেবী মূর্তি তৈরি হয় নবদ্বীপে দেখে আসা মূর্তির আদলে। প্রতি বছর সেই প্রতিমার উচ্চতা বাড়ানো হতে থাকে।ফলে বাড়িতে পুজো করা আর সম্ভব হচ্ছিল না। তখন ঋষি অরবিন্দ রোডের পাশে প্রতিমা বানিয়ে পুজো শুরু হয়।
প্রথম দিকে এই পুজোর নাম ছিল ভবেশ কালী। তবে বিভিন্ন 'অলৌকিক' ঘটনার জেরে ভক্তদের কাছে দেবী ‘বড় মা’ হিসাবে পরিচিত হতে থাকেন।
নৈহাটি স্টেশন থেকে বেরিয়ে পশ্চিম পাড়ে ঋষি অরবিন্দ রোড ধরে গঙ্গার দিকে একটু হাঁটলেই বড় মা’র পুজো।
রীতি মেনেই প্রতি বছর কোজাগরী লক্ষীপুজোর দিন প্রতিমা বানানো শুরু হয়। এ বার পুজোর একশো বছর। সেই কারণে মায়ের কষ্টি পাথরের ছোট মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে।
একশো ঘন্টা ধরে ভোগ বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে। একশোটি বৃক্ষ রোপণও করা হবে। মায়ের মূর্তিকে একশো কেজি সোনা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মন্দির চত্বর সাজানো হয়েছে। মন থেকে কিছু চাওয়া হলে নাকি খালি হাতে ফেরান না। এমনই বিশ্বাস ভক্তদের।
সেই উঠে এসেছে ‘ধর্ম হোক যার যার, বড় মা সবার’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy