কলকাতা কিংবা আশপাশের বেশির ভাগ দুর্গা পুজোতেই এখন থিমের রমরমা। পুজোর বেশ কিছু দিন আগে থেকে ট্রেনে-বাসে কান পাতলেই শোনা যায় থিমের আলোচনা। সেই জোয়ারেই কি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে শারদীয়ার সাবেকিয়ানা? এ প্রশ্নটা ভাবিয়েছে বেহালার নেতাজি সড়ক আঞ্চলিক অধিবাসীবৃন্দ পুজো কমিটিকে। তাই শহর ও শহরতলির বেশির ভাগ পুজো যখন থিমের দিকে ঝুঁকে, ব্যতিক্রমী অবস্থানে দাঁড়িয়ে তারা।
১৯৭৬ সালে উদযাপন শুরু। এ বছর ৪৭তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলেছে বেহালার এই পুজো। অন্যান্য বছরের মতো এ বারেও নিজেদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন উদ্যোক্তারা। সাবেকিয়ানাই তাঁদের মূলমন্ত্র। থিমের নামও তাই ‘সনাতনে সনাতনী’।
বড় মাঠে পুজোর সঙ্গে সঙ্গে আড্ডাও জমে ওঠে উৎসবের চার দিনে। পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে ক্লাবের তরফ থেকে। থাকছে বাউল গান। দশমীর দিন এই পুজোয় সিঁদুর খেলা হয় বেশ বড় করেই। ক্লাবের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শ্যামল বৈরাগ্য বলেন, “ আমাদের পুজোয় সাবেকিয়ানাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি আমরা। বড় মাঠে পুজো হয়। সবাই মিলে ঘরোয়া এক পরিবেশে উৎসবে মেতে উঠি আমরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় প্রতি বছরই। এ বারেও তার আয়োজন করা হচ্ছে।”
যাবেন কী করে- বেহালা চৌরাস্তা থেকে অটো করে নেতাজি সড়ক। রাস্তার মোড় থেকেই পুজোর সজ্জা শুরু।
থিমের- সনাতনে সনাতনী
থিম শিল্পী- রূপম ডেকরেটর্স
প্রতিমা শিল্পী- সনাতন রুদ্র পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy