১৯৬০ সালে ছ’টি পরিবার মিলে একটি জায়গায় শুরু করে এই দুর্গাপুজোর। তারপর সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে লোকসংখ্যা। পুজো আরও বড় হতে হতে সেই আদি পুজো দক্ষিণপাড়া শিশু উদ্যান মাঠে স্থানান্তরিত হয়। আজকে যে জায়গার নাম বীরেন গুহ মঞ্চ। প্রথমের দিকে এই পুজো সবেকি পুজো হিসেব এ ছাপ ফেলেছিল। বর্তমান সময়ে এই পুজো গা ভাসিয়েছে থিম পুজোর স্রোতে।
এই বছর দক্ষিণ পাড়া দুর্গোৎসবের মণ্ডপ সজ্জার বিষয় হল ‘আলাপন’। পরিকল্পনায় দেবাশিস বারুই। তাঁর কথায়, ‘রাগ সঙ্গীতে গভীরে ঢোকার প্রবেশ পথ যদি 'আলাপ' হয়, তা হলে আমার এই 'আলাপন' এক গভীরত্বকে নির্দেশ করে। আজকের এই সময়ে দাঁড়িয়ে যখন মানুষ নিজের কথা ভাবার অবকাশ রাখে না, রাখে না প্রকৃতির কথা, রাখে না পরিবেশের কথা। ঠিক সে সময়ে আমার এই কাজ প্রকৃতি, পরিবেশ ও নিজেকে ভাবতে ও তার গভীরে যাওয়ার উপলব্ধি ও উপলক্ষ মাত্র। যে ভাবে নিজের সঙ্গে নিজের কথা বলে থাকি, মনন ও বোধের আদান প্রদান ও তার গভীরতাই আমার এ কাজ 'আলাপন'।’
দেবাশিসবাবু জানালেন, ‘আলাপন এখানে ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও আপন। শঙ্খকে যদি মাঝামাঝি কেটে ফেলা যায় তা হলে তার ভেতরের যে প্যাঁচ আমরা দেখতে পাব, আমি সম্পূর্ণ তার গঠনগত চরিত্রকে কাজে লাগিয়েছি এই স্থাপত্য গড়ায়। মহাশূন্যের মাঝে অথবা জলের গভীরে যে ভাবে একটি প্রাণ নিজেকে তুলে ধরে তার নিজ ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বে, সে ভাবেই মানুষ এখানে দাঁড়িয়ে তার নিজের কথা বা সমাজ, প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা আরও গভীর ভাবে আলাপন থেকে সংলাপে নিয়ে যেতে।’
পুজোর সম্পাদক শুভজিৎ দাস জানিয়েছেন, ‘আমাদের পুজোর বয়স ৬৪। আমাদের এ বছরের থিম আলাপন। সেই অনুযায়ী লোহার কাঠামোয় প্রস্তত হচ্ছে প্যান্ডেল। আরও চমক রয়েছে। দেখতে পাবেন।’
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারেরে একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy