ছবি সংগৃহিত
পালকি চলে / পালকি চলে! / গগন-তলে / আগুন জ্বলে! — সতেন্দ্রনাথ দত্তের পালকির গানের সঙ্গে কমবেশি সকল বাঙালিই পরিচিত। বাংলার সভ্যতার সঙ্গে পালকি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। এক সময় পালকি ছিল রাজারাজরা অথবা জমিদারদের যাতায়াতের উপায়। ক্রমে তা হয়েছে অতীত, যার ইতিহাস প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো।
সেই ইতিহাসকে স্মরণ করতেই এই বছর ৭৭তম বছরে বেলগাছিয়া সাধারণ দুর্গোৎসবের নিবেদন ‘পালকি কথা’। যে ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন শিল্পী সোমনাথ দলুই। প্যান্ডেলের ভিতরে পালকির বিভিন্ন ধরন তুলে ধরা হয়েছে। তখন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ পালকি চড়তেন। শ্রেণীভেদে পালকি কী রকম ছিল এবং পালকিবাহকদের জীবন কী রকম ছিল সেইসব গল্পও নানা রকমের কোলাজ এবং ইন্সটলেশনের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই বছর মা আসছেন পালকিতে। তার প্রতীকীস্বরূপ দেবীকেও পালকির মধ্যে রাজরানীরূপে বিরাজমান করা হয়েছে। দেখা যাবে মায়ের শান্ত-স্নিগ্ধ রূপ। যা এই তপ্ত পরিস্থিতিতে শান্তির প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
বেলগাছিয়া সাধারণ দুর্গোৎসবের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ সমীক সাহা বলেছেন, “এই ৫০০ বছরের পুরনো ইতিহাস যা মানুষের মনের অলিন্দ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তাকে আমরা আবার মানুষের মনে তুলে ধরছি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়েও পালকি একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল। বিপ্লবীরা ছদ্মবেশে দেশান্তর হয়েছেন। তার সঙ্গেও পালকির যোগ ছিল। সেটাও কিছু কিছু জায়গায় কোলাজ করে দেখানো আছে। পালকির বিভিন্ন অংশ কিভাবে বানানো হতো সেইসব কিছুও প্রদর্শন করা হয়েছে।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy