‘রানার ছুটেছে তাই ঝুম্ ঝুম্ ঘণ্টা বাজছে রাতে,
রানার চলেছে খবরের বােঝা হাতে…’ সুকান্ত ভট্টাচার্যের সেই বিখ্যাত কবিতা ছেলেবেলার সঙ্গী হলেও, এর অন্তর্নিহিত অর্থ বোঝা যায় খানিক বয়স বাড়লেই। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে বার্তা বহন করে ছুটে চলা এক জন ডাকবাহকের গল্প আরও আমরত্ব লাভ করেছে কিংবদন্তি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। এ বার এই বিষয়বস্তুই প্রতিফলিত হল জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাবনায়।
আরও পড়ুন:
জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরের জৌলুস ফিকে হওয়ার আগেই নতুন করে উৎসবের ছন্দে ফিরেছে রিষড়া। ঐতিহ্য ও থিমের মেলবন্ধনে এটিও কিন্তু কোনও অংশে পিছিয়ে নেই চন্দননগর অথবা কৃষ্ণনগরের থেকে। এরই ভিড়ে পৃথকভাবে নজর কেড়েছে রিষড়া বিশ্বপরিবার জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি।
তাঁদের ২৩তম বর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘রানার’ কবিতাকে অবলম্বন করেই সেজে উঠেছে মণ্ডপ। ফ্লেক্স, খড়, বাঁশ, কার্ডবোর্ড ইত্যাদির সঙ্গেই মিলেছে শিল্পের নিখুঁত বুনন। শিল্পী গৌতম দাশগুপ্তের ভাবনায় যেন প্রাণ পেয়েছে এই থিম। প্রতিমা শিল্পী মহাদেব পালও তাঁর কাজে অনবদ্য।
সাধারণত, মানব শ্রম, কষ্ট, যোগাযোগ এবং সময়ের প্রবাহের মতো বিষয়গুলিকেই তুলে ধরা হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে। এর মূল বিষয়ই হল, এক জন ডাকবাহকের নিরলস পরিশ্রম ও কাজের প্রতি নীরব নিষ্ঠা।
ফেসবুক, হোয়াট্সআপের যুগে কিছু সময়ের জন্য ডাকবাক্স ও পোস্ট কার্ডের জমানায় ফিরে যেতে চাইলে এক বার ঘুরে আসতেই পারেন রিষড়া বিশ্বপরিবার জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে।
আরও পড়ুন:
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।