ট্যাংরা শৈলেশ্বর অ্যাথলেটিক ক্লাব কলকাতা শহরে মা কালীর দশটি রূপের পুজোর জন্য বিখ্যাত। কলকাতায় দু'টি পুজোয় দীর্ঘ দিন ধরে দেবীর দশ রূপের পুজো হয়। তাদের মধ্যে একটি জানবাজার। দ্বিতীয়টি এই ক্লাব।
শৈলেশ্বর অ্যাথলেটিক ক্লাবে শ্যামা মায়ের পুজো এ বার ৭৫ বছরে পড়ল। দীর্ঘ এই যাত্রা পথ পেরিয়ে এসেও পুজোয় বিশেষ পরিবর্তন আনছেন না তাঁরা। প্রতি বছর সাবেকিয়ানা বজায় রাখা হয় মণ্ডপের ক্ষেত্রে। মায়ের প্রতিমার ক্ষেত্রে দশটি রূপ তৈরি করেই পুজো হয়।
তবে এবার যেহেতু ৭৫ তম বর্ষ, তাই ঘটা একটু বেশি। প্লাইউড ব্যবহার করে রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। মণ্ডপে থাকছে যথেষ্ট আলোর ব্যবহার।
লাল-নীল-হলুদ বিভিন্ন আলো। আর মায়ের দশটি রূপ তো আছেই।
মায়ের একটি রূপের উচ্চতা ১৫ ফুট। সেটাই সব থেকে বড়। বাকি রূপগুলির উচ্চতা ৭ থেকে ১০ ফুটের মধ্যে। ৭৫ বছরের পুজোর উপলক্ষে বিশেষ কর্মসূচি নিয়েছে এই ক্লাব। ৭৫টি বৃক্ষরোপণ করা হবে এ বার।
১১ তারিখ পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করা হবে। কালীপুজোর পরেই দিন ভোগ বিতরণ অনুষ্ঠান রয়েছে। একদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। ১৫ তারিখ শোভাযাত্রা করে প্রতিমার বিসর্জন।
ক্লাবের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, বিসর্জনে ৭৫টি ঢাক ব্যবহার করা হবে। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “আমরা প্রত্যেকেই নিজেদের কর্ম ব্যস্ততায় প্রতি দিন ডুবে থাকি। পুজো দিনগুলি আমরা যাতে সুষ্ঠুভাবে, ভাল ভাবে আনন্দ সহকারে কাটাতে পারি সে দিকে আমরা নজর রাখছি। অন্যদের কাছেও সেই বার্তা তুলে ধরছি"।
প্রতিমা শিল্পী: স্বপন রুদ্র পাল
যাবেন কী করে: শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধাপা রুটের অটো ধরে ঘোল পাড়ায় নামলেই পেয়ে যাবেন এই পুজোর মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy