১৯৪৫ সালে প্রাক স্বাধীনতা থেকে এই পুজোর শুরু। বেহালার সব থেকে পুরনো বারোয়ারি পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এই পুজো। থিম পুজোয় পদার্পণ ২০০২ সালে। এই বছরের থিম ‘ভাত কাপড়’।
আমদের সমাজে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী স্বামী দায়িত্ব নেয় স্ত্রীর ভাত কাপড়ের। অর্থাৎ — স্ত্রীর খাওয়া পরার দায়িত্ব স্বামীর কাঁধে আরোপিত হয়। এ ভাবেই সূচনা হয় দাম্পত্যের।
কিন্তু এমন কিছু নারীও আছেন, যাদের ভাত কাপড়ের দায়িত্ব তাদের স্বামীরা নিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু কথা রাখেনি কেউ। এমনকি প্রাপ্য সম্মানটুকুও খুইয়ে তাঁরা বাধ্য হয়েছেন, নিজেদের সংসারের ভার একার কাঁধে তুলে নিতে। যাঁরা এক দিন মন দিয়ে শুধু সংসার করতে চেয়েছিলেন, আজ তাঁরা অর্থ উপার্জনের কারণে অন্যদের সংসারের কাজ করে চলেছে। দিনের প্রথম আর শেষ বাস কিংবা ট্রেন এঁদের লড়াইয়ের নির্বাক সাক্ষী হয়ে থেকে যায়। এঁরা বাড়ি-বাড়ি কাজ করে বেড়ান। তাঁদের সম্মান জানাতেই এই বছরের বেহালা ক্লাব সর্বজনীনের ভাবনা ‘ভাত কাপড়’।
পুজোর সহকারী সম্পাদক সায়ন্তন ভট্টাচার্য্যের কথায়, ‘‘আমাদের থিম শিল্পী অদিতি চক্রবর্তী, তাঁর বাড়ির পরিচিত যমুনাদিকে কেন্দ্র করেই আমাদের এই বছরের ভাবনা। মহিলাদের সংগ্রামের এই ছবি ফুটে উঠবে মাতৃ প্রতিমার গায়ে।’’
থিম : ভাত কাপড়
থিম শিল্পী : অদিতি চক্রবর্তী
প্রতিমা শিল্পী : অদিতি চক্রবর্তী ও রাজেশ মণ্ডল
কী ভাবে যাবেন : বেহালা থানার বিপরীতে বনমালী নস্কর রোড। সেই রাস্তায় ঢুকে মিনিট পাঁচেক হাঁটলেই হরিসভা ময়দান। এই ময়দানেই রয়েছে বেহালা ক্লাবের পুজো মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy