জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে সেজে উঠেছে হুগলির চন্দননগর। একদা এই ফরাসী উপনিবেশ দীর্ঘ সময় ধরেই তার জগদ্ধাত্রী আরাধনার জন্য সারা বিশ্বে প্রসিদ্ধ। এখানকার পুজোর সঙ্গে মিশে রয়েছে ঐতিহ্য ও ইতিহাস। আর, এখন সেই ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের সঙ্গে একাকার হয়ে গিয়েছে হালের থিম সংস্কৃতি। বারোয়ারি পুজো কমিটি এবং ক্লাবগুলি থিমের যাদুতে দর্শনার্থীদের চমকে দিতে প্রস্তুত এ বারও।
আরও পড়ুন:
যে বারোয়ারি পুজোগুলির কথা এ ক্ষেত্রে উল্লেখ না করলেই নয়, তার মধ্যে অন্যতম হল - লিচুতলার বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো। এ বার তাদের থিম হল - বিবর্তন। তবে, এই বিবর্তন বলতে সামগ্রিক ভাবে মানব জাতি বা মানব সভ্যতার কথা বলা হচ্ছে না। এখানে মূলত সংবাদমাধ্যম বা খবর প্রকাশ, তার সম্প্রচার ও সম্প্রসারণের বিবর্তন দেখানো হয়েছে।
মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে সংবাদপত্র, সাইকেল, পুরোনো দিনের রেল স্টেশন প্রভৃতির প্রতীকী সংস্করণ। আগে যেখানে খবর বলতে কেবলমাত্র সংবাদপত্রকেই বোঝানো হত, বিগত কয়েক দশকে সেই ধারা খুব দ্রুত বদলে গিয়েছে।
এখনকার দিনে সকালে ঘুম থেকে উঠেই খবরের কাগজ পড়ার লোক ক্রমশ কমছে। বিশেষ করে জেন-জ়ি তো ওসবের ধারই ধারে না! তাদের কাছে এবং এখনকার অধিকাংশ মানুষের কাছেই খবরের জোগান দেয় স্মার্টফোন এবং তাতে উপলব্ধ নানা ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ। খবর পেশ ও পরিবেশনের এই বদলে যাওয়া সংস্কৃতির বিভিন্ন পর্যায়ই বিবর্তন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে লিচুতলার এ বারের জগদ্ধাত্রী পুজোর মণ্ডপ সজ্জায়।
তবে, মণ্ডপে মায়ের যে প্রতিমা রয়েছে, তাতে খুব বেশি বদল আনা হয়নি। সেখানে দেবী জগদ্ধাত্রী বরাবরের মতোই একে বারে রাজ বেশে অধিষ্ঠাত্রী! তাঁর ভুবন ভোলানো রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।