প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

জানেন কোথায় কোথায় বারোয়ারি আয়োজনে চলে লক্ষ্মীর আরাধনা?

বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজো মানেই কি কেবল খালনা? বাংলার আরও কয়েকটি এলাকায় সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করা হয়।

সৌভিক রায়

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৪১
প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

আশ্বিনের পূর্ণিমায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাতে বাংলা। বাংলার ঘরে ঘরে পূজিতা হন ধন-সম্পদের দেবী। দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রীর মতো দেবীরা রাজা-মহারাজা-জমিদার-বিত্তবানদের বাড়ির ঠাকুরদালান পেরিয়ে সর্বজনীন হয়ে উঠেছেন। অধিকাংশ জায়গায় বারোয়ারি আয়োজনেই তাঁদের পুজো হয়। লক্ষ্মী যেমন বরাবর মান্যের পুজো পেয়েছেন, তেমনই সর্বজনের দ্বারাও পূজিতা হয়েছেন। কিন্তু সেই অর্থে বারোয়ারি আয়োজনে তাঁর পুজো দেখা যায় না। তবে ব্যতিক্রম রয়েছে। হাওড়া জেলার জয়পুরের খালনা গ্রাম হয়ে উঠেছে ‘লক্ষ্মীগ্রাম’। দুর্গাপুজো নয়, আমতা ২ নম্বর ব্লকের এই প্রান্তিক গ্রামের প্রধান উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এ ছাড়াও পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ এবং নদিয়া জেলার চাকদহে সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজো হয়।

গোটা বাংলা যখন দশমীর বিসর্জনের বিষাদে ডুবে থাকে, তখন খালনা সেজে ওঠে কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে। একই সঙ্গে সেজে ওঠে চাকদহ এবং রানিগঞ্জ।

খালনার মতো প্রাচীন না হলেও, গত শতকের আটের দশক থেকে পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে বারোয়ারি লক্ষ্মী পুজো শুরু হয়েছে। কিন্তু পুজোগুলির বয়স ৮০-৯০ বছর বা আরও বেশি। রানিগঞ্জ, আসানসোল ইত্যাদি অঞ্চলের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বাড়ির পুজোগুলিই সর্বজনীন পুজোর আকার ধারণ করেছে। একে বারে প্রথম থেকে সর্বজনীন উদ্যোগে শুরু হয়নি।

রানিগঞ্জের অন্যতম বড় সর্বজনীন লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে বল্লভপুর হরিবোল সমিতি। পুজোর বয়স ৪৩ বছর। রানিগঞ্জের কুমারবাজারের যমজয়ী মন্দিরের লক্ষ্মী পুজো একশো বছরের বেশি প্রাচীন। আসানসোলের বিবেকানন্দ সমিতির পুজোও বেশ পুরনো।

আবার নদিয়ার চাকদহ ব্লকের দরাপপুর-সহ বল্লভপুর, নেতাজি বাজার, চৌগাছা এলাকাতেও পাড়ায় পাড়ায় বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়। এই পুজোগুলির সূচনা হয়েছিল ওপার বাংলায়। এক একটি পুজোর বয়স ৭৫-৮০ বছর। কোনও কোনও পুজো নিছক বাড়ির পুজোই ছিল। দেশভাগের পরে এপারে এসে সেগুলি সর্বজনীন পুজোর রূপ নিয়েছে। এখন রীতিমতো থিম পুজো হয়। থিমের টক্কর চলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

এ ছাড়াও বর্ধমানের গুসকরার শিবদা গ্রামে কোজাগরী পূর্ণিমায় বেশি কিছু বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়। উত্তর দিনাজপুরের গোরাহার ও বিশাহার গ্রামেও বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো দেখা যায়।

বাংলার সর্বজনীন পুজোর মানচিত্রে কাঁকিনাড়ার গণেশ পুজো, বাঁশবেড়িয়া ও কাটোয়ার কার্তিক পুজো, চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মতো লক্ষ্মী পুজোর ক্ষেত্রে হাওড়ার খালনা হয়ে উঠেছে কেন্দ্রবিন্দু। তার পাশে ছোট ছোট আলোর বিন্দুর মতো উজ্জ্বল নদিয়ার চাকদহ, পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জ, বর্ধমানের গুসকরার মতো এলাকাগুলি।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy