কালচক্রের চিরকালীন নিয়মে দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন যেমন অপরিবর্তনীয়, তেমনই ঋতুর নির্দিষ্ট পরিবর্তনও অনিবার্য। সেই মহাকালের নিয়মেই প্রতি শরতে শারদীয়ার আরাধনা করি।
মহাষষ্ঠীর বোধন থেকে বিজয়া দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত ষোড়শোপচারে মায়ের আরাধনার শেষে আত্মীয়স্বজন, প্রিয়জন-পরিজন একে অপরকে ‘শুভ বিজয়া’ সম্ভাষণে দুর্গোৎসবের যবনিকা ফেলি, বিষাদ ভরা মন নিয়ে। —আবার আসছে বছর এসো মা...আসছে বছর আবার হবে..!
কিন্তু পুরাণে বলছে, বিজয়া দশমী বিষাদের নয়, বরং এটা উদ্যাপন । মায়ের করুণায় সাফল্যের উদযাপন। বছরের এই সময় দেবী প্রতিমা রূপে মা দুর্গা আসেন মর্ত্যে। মহিষাসুর বধের মাধ্যমে, পূজোআচ্চা গ্রহণের মধ্য দিয়ে হরণ করেন আমাদের অন্তরের ছয় রিপুকে, আমাদের সমস্ত নেতিবাচকতাকে। বিজয়া দশমীতে বিজয় লাভ করে শুদ্ধ আত্মা। মহামায়ার করুণায় প্রাপ্ত সাফল্যের উদ্যাপনে আমরা একে অপরকে আলিঙ্গনের মাধম্যে বলি ‘শুভ বিজয়া’, বিষাদে নয়!
এই থিম-কেই এ বছর এঁদের গোটা পুজো মন্ডপ জুড়ে এবং তার সঙ্গে মানানসই এক চালার প্রতিমায় ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে এখন রোজ সকাল-সন্ধে। থিমের ভাবনা যাঁর, অন্যতম ক্লাব-সদস্য সেই দীপাঞ্জন দে এসব বললেন আনন্দবাজার অনলাইন-কে।
কীভাবে যাবেন: উল্টোডাঙা ভিআইপি-তে পরে কেষ্টপুরে ওভারব্রিজের বাঁ দিকের রাস্তায় ঢুকে সিদ্ধেশ্বরী অ্যাপার্টমেন্টের বিপরীতে এই পুজো।
ভাবনা: শুভ বিজয়া
ভাবনায়: দীপাঞ্জন দে
প্রতিমা শিল্পী: নিখিল মিস্ত্রি
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।