‘আবাসনের সিংহাসন’-এর বিচারে সোহিনী-রণজয় ও অনুষা।
মহাষ্টমীতে শুরু হয়ে গিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইনের আবাসনের পুজোর লড়াই, ‘আবাসনের সিংহাসনে।’ বিচারকের ভূমিকায় চার জন— আনন্দবাজার অনালইনের সম্পাদক অনিন্দ্য জানা, অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, রণজয় বিষ্ণু এবং অনুষা বিশ্বনাথন। মোট ২৫০টি পুজো নিয়ে শুরু হয়েছিল এই লড়াই। সেখান থেকে প্রথম পর্বের বাছাইয়ের পরে উঠে এসেছিল ২০টি পুজো। আজ তার মধ্যে থেকেই বেছে নেওয়া হবে সেরা ১০টি পুজো। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়ের ঝুলিতে আসবে পুরস্কার।
বিচার-পর্বেও সোহিনী-রণজয় জুটি বেঁধেই নম্বর দিলেন। নম্বর বসানোর আগে আলোচনা করে নিলেন নিজেদের মধ্যে। অনিন্দ্য ঠাট্টার সুরে বললেন, ‘‘হাত খুলে নম্বর দিচ্ছি।’’ সঙ্গে সঙ্গে সোহিনীর টিপ্পনি, ‘‘তোমার নম্বর দেখে তো সেটা মনে হচ্ছে না।’’ তার সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘নিজে কখনও বেশি নম্বর পাইনি। তাই বেশি দিতেও পারি না।’’ অনিন্দ্যর তাৎক্ষণিক উত্তর, ‘‘শুধু রণজয় বেশি নম্বর পেলেন?’’ তারই মধ্যে শুরু হল অনুষার নম্বর নিয়ে খুনসুটি। ৪ না দিয়ে ৪.৫ দিয়ে ফেলেছেন তিনি। অনুষাও ছাড়ার পাত্রী নন। রণজয়ের মার্কশিট দেখে ফোড়ন কাটতে ছাড়লেন না।
হাসি ঠাট্টার মধ্যেই মন দিয়ে চলল বিচারপর্ব। দুর্গার চোখ থেকে অসুরের মুখের অভিব্যক্তি, কোনও কিছুই বাদ পড়ল না আলোচনা থেকে। চলল চুলচেরা বিশ্লেষণ। এত ধরনের থিম দেখে মুগ্ধ সোহিনী। থিমের মধ্যে কোভিড থেকে যোগাসন, সবই আছে। কার্তিকের গোঁফ দেখে তারিফ করলেন ‘বিবাহ ডায়রিজ’-এর অভিনেত্রী। আবার রণজয় মাঝেমাঝে অন্যমনস্ক হয়ে পড়লে সোহিনী পেনসিল দিয়ে খোঁচা মারলেন। সল্টলেকের বহু পুজো দেখে খুব খুশি অনুষা। বললেন, ‘‘এক কালে অনেক সময় কাটিয়েছি সল্টলেকে।’’ কিসের জন্য এত সময় কাটিয়েছেন তিনি? তা অবশ্য খোলসা করে বললেন না।
অষ্টমী বলে কথা, সোহিনীর সাজ দেখার মতো। তাঁর শাড়িতেও পুজোর থিম। শাড়ির কা়জে আছেন মা দুর্গা থেকে মহিষাসুর। মাথায় জুঁইফুলের মালা, কানে বড় ঝুমকো, হাতে লাল চুড়ি। সোহিনী অনন্যা। রণজয়ের প়াঞ্জাবির গল্পও শোনা গেল তাঁর মুখে। বললেন, এই অনুষ্ঠানে পরবেন বলেই নাকি রণজয় ডিজাইনারকে তাড়া দিয়ে নিজের পোশাক আনিয়েছেন আগের রাতে। এ সবের মধ্যে বিচার চলবে সারা দিন ধরেই। সে কথা শুনে সোহিনী জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তবে কি সম্পাদকের অষ্টমীর মধ্যাহ্নভোজন অফিসেই?’’ অনিন্দ্য বললেন, ‘‘তোমাদেরও খাওয়াব।’’ কিন্তু অভিনেত্রীর আর সময় কই? তাঁর বাড়ি ফেরার তাড়া, বাড়িতে যে ইলিশ!
এমন হাসি-হুল্লোড়-মজা নিয়েই ২০টি পুজোর বিচার হল। বিভিন্ন পুজো কর্তারা নিজেদের থিমের বিষয়ে লিখে পাঠিয়েছেন। সেই ভাবনা পড়ে ও পর্দায় পু়জোগুলির ছবি দেখে চলেছে বিচার। প্রথম তিনটি স্থান ছাড়াও কোভিড সুরক্ষা-বিধি রক্ষা থেকে সামাজিক কাজের উপর ভিত্তি করে কিছু বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিযোগিতাটি নিবেদন করেছে অ্যাপোলো হাসপাতাল, বাজার কলকাতা, মাচো-মিন্ট, সেনকো গোল্ড, টার্টল, নানিঘর, স্পেনসার্স, বার্জার, ম্যাগনোলিয়া।
এখন শুধু অপেক্ষা প্রথম তিনের নাম জানার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy