পুরনো স্মার্টফোন ঠিকঠাক কাজ করছে না? কী ভাবছেন? এই পুজোর মরশুমে একটা নতুন ফোন কিনলে হয়! কিন্তু, খরচের সুযোগ মাত্র ১০ হাজার টাকা? কুছ পরোয়া নেই। কারণ, ওই দামের মধ্যেই পেয়ে যাবেন বেশ কিছু উপযোগী স্মার্টফোন। এই ফোনগুলি দামে সস্তা হলেও দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত ফিচারই এতে থাকে। এখানে তেমনই কিছু জনপ্রিয় স্মার্টফোন মডেল এবং সেগুলির উল্লেখযোগ্য ফিচারের হালহদিস রইল:
পোকো এম৬ প্লাস ৫জি: এই ফোনটি শক্তিশালী প্রসেসর এবং ১২০ Hz রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের জন্য পরিচিত। এতে ১০৮ মেগাপিক্সেলের প্রাইমারি ক্যামেরা এবং ৫০০০ mAh-এর বেশি শক্তিশালী ব্যাটারি থাকতে পারে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ০৬ ৫জি/ এম০৬ ৫জি: স্যামসাং-এর এই ফোনগুলি তাদের নির্ভরযোগ্যতার জন্য জনপ্রিয়। এতে মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, এবং ৫০০০ mAh ব্যাটারি পাওয়া যেতে পারে। এর ডিসপ্লে সাধারণত পিএলএস এলসিডি ধরনের হয় এবং ৯০ Hz রিফ্রেশ রেট থাকে।
মোটো জি৩৫ ৫জি/ জি৪৫ ৫জি: মোটোরোলার এই ফোনগুলি সাধারণত অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারের নিরুপদ্রব অভিজ্ঞতা এবং বেশি ক্ষণ ব্যাটারির চার্জ থাকার জন্য পরিচিত। এতে ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৫০০০ mAh ব্যাটারি থাকে। ডিসপ্লেতে ১২০ Hz রিফ্রেশ রেট দেখা যায়।
রেডমি এ৪ ৫জি/ ১৪সি: এই ফোনগুলি কম দামে ৫জি কানেক্টিভিটি প্রদান করে। এতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন বা মিডিয়াটেক হেলিও প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ৫০০০ mAh-এর আশপাশে ব্যাটারি থাকতে পারে।
আইকিউওও জেড১০ লাইট ৫জি: এই ফোনটিও কম বাজেটে ভাল ৫জি পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয়। এতে সাধারণত মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি প্রসেসর, ৫০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং ভাল ব্যাটারি লাইফ থাকে।
সাধারণত এই বাজেটের স্মার্টফোনগুলিতে যে ফিচারগুলি পাওয়া যায়:
৫জি কানেক্টিভিটি: বর্তমানে ১০,০০০ টাকার নীচে অনেক ফোনেই ৫জি-র সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে, যা দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করে।
ডিসপ্লে: বেশির ভাগ ফোনেই এইচডি প্লাস বা ফুল এইচডি প্লাস রেজোলিউশনের বড় ডিসপ্লে (৬.৫ থেকে ৬.৮ ইঞ্চি) থাকে। অনেক মডেলে এখন ৯০ Hz, এমনকী ১২০ Hz রিফ্রেশ রেটও পাওয়া যায়!
ক্যামেরা: মূল ক্যামেরা সাধারণত ৫০ মেগাপিক্সেলের হয়, যা পর্যাপ্ত আলোয় ভাল মানের ছবি তুলতে সক্ষম। এরই সঙ্গে সাধারণত ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ বা ম্যাক্রো সেন্সর থাকে। সেলফি ক্যামেরার মান ৫ থেকে ১৩ মেগাপিক্সেলের মধ্যে হয়।
ব্যাটারি: এই বাজেটে বেশির ভাগ ফোনেই ৫০০০ mAh বা তার বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি থাকে, যা এক চার্জে সারা দিন ব্যবহার করার জন্য যথেষ্ট। কিছু ফোনে ১৫W বা ১৮W ফাস্ট চার্জিং-এর সাপোর্টও থাকে।
প্রসেসর এবং RAM: এই ফোনগুলিতে মিডিয়াটেক বা কোয়ালকম-এর এন্ট্রি-লেভেল প্রসেসর যেমন - মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি, কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৪ জেন ২ বা ইউনিসক টি সিরিজ ব্যবহার করা হয়। RAM সাধারণত ৪ জিবি থেকে ৬ জিবি-এর মধ্যে থাকে।
স্টোরেজ: ইন্টারনাল স্টোরেজ ৬৪ জিবি বা ১২৮ জিবি হতে পারে, যা সাধারণত মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।