প্রতীকী চিত্র
মোবাইলের দুনিয়ায় সকলেই আইফোনকে একটু বেশি প্রাধান্য দেন। তার বেশির ভাগটাই ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণে। আর বাকিটা আইফোন ঘিরে বেশ কিছু নির্দিষ্ট ধারণার বশে। আজ এমন কিছু কথা বলব, যেগুলো আইফোনের বিষয়ে আপনার ধারণাগুলো অনেকটাই বদলে দেবে |
প্রথমত, আইফোন মানেই আমরা ধরে নিই, তার ক্যামেরার গুণমান সব থেকে ভাল হবে। কিন্তু সত্যিটা হল আইফোনের দামে এখন অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও অনেক ভাল ভাল ক্যামেরা স্মার্টফোন এসেছে | তবে হ্যাঁ, এটা একেবারেই সত্যি যে ভিডিও ক্যামেরার ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত আইফোনই সেরা।
দ্বিতীয়ত, অনেকেই বলে আইফোনের অ্যাপ স্টোর-এ নাকি প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা কম। এটা একেবারেই ভ্রান্ত ধারণা যে আপনার সমস্ত কিছু প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন আপনি আইফোনের অ্যাপ স্টোরে পেয়ে যাবেন। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোনে যেমন থার্ড পার্টি সোর্স থেকে অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা যায়, অ্যাপলের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। তবে, সে কারণে অ্যাপলের সুরক্ষার দিকটাও বেশ কিছুটা শক্তপোক্ত।
তৃতীয়ত, অনেকেই বলে অ্যাপলের স্মার্টফোন নাকি বছরের পর বছর ব্যবহার করা যায়। তাতে কোনও রকম সমস্যা হয় না। এমনকি, ফোন স্লো-ও হয় না। এটাও একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। সম্প্রতি অ্যাপলের স্মার্টফোনে বেশ কিছু গ্রিন লাইন ইস্যু টের পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, এর ব্যাটারি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা গিয়েছে | সুতরাং অ্যাপলের আইফোন মানেই যে তা খারাপ হবে না, এর কোনও গ্যারান্টি নেই |
চতুর্থত, অ্যাপলের ফোন নাকি এতটাই সুরক্ষিত যে তা হ্যাক করা একেবারেই অসম্ভব | কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে এই যে, আপনি যদি কোনও রকম অবিশ্বস্ত লিঙ্কে ক্লিক করেন বা কোনও রকম সন্দেহজনক ওয়েবসাইটে যান, তা হলে সেখান থেকে আপনার আইফোনও হ্যাক হতে পারে। এমনকি ব্যাঙ্কের টাকাও গায়েব হতে পারে। সুতরাং কোনও অবিশ্বস্ত লিঙ্কে তাড়াহুড়োর মাথায় ক্লিক করবেন না |
পঞ্চমত, সবাই মনে করে অ্যাপলের আইফোনে নাকি কোনও রকম কাস্টমাইজেশনই করা যায় না। কিন্তু iOS 18- এর সাম্প্রতিক যে আপডেটটা এসেছে, তাতে আপনি আইফোনে, অ্যান্ড্রয়েড-এর মত অনেক কাস্টমাইজেশনও করতে পারবেন। এমনকি সেখানে চাইলে আপনি যে কোনও অ্যাপ্লিকেশনকে হাইড করা থেকে শুরু করে অ্যাপস লক, সমস্ত ফিচারও ব্যবহার করতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy