প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner

কান নয়, এই হেডফোনে গান শোনা যাবে হাড় দিয়ে!

কানে পরলেই বুঝতে পারবেন বাকি সমস্ত হেডফোনের মতো কানের মধ্যে এই হেডফোন ঢুকে যায় না।

অর্চীষ্মান সাহা

শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০১৯ ১৪:৩১

কানে হেডফোন গুঁজে রাস্তাঘাটে চলার দৃশ্য নতুন কিছু নয়। সোনি যখন প্রথম তাদের বহনযোগ্য ক্যাসেট প্লেয়ার ওয়াকম্যান বের করেছিল, তখন থেকেই ইয়ারফোন অথবা হেডফোন লাগিয়ে মানুষের পথ চলা শুরু। দিনে দিনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ক্যাসেটের গান সিডি থেকে মেমরি কার্ডে আর বড় ক্যাসেট প্লেয়ার থেকে আইপড, স্মার্টফোন... শুধু গান নয়, গান শোনার ক্ষেত্রেও ঘটেছে পরিবর্তন।

বাড়ি হোক বা রাস্তা, আজ প্রায় প্রতিটি মানুষের ফোন থাকে হাতের মুঠোয়, আর হেডফোন গোঁজা থাকে কানে। ফোন ধরার সুবিধে থেকে রাস্তার অবাঞ্ছিত আওয়াজ, অথবা নিজের পছন্দের গান শোনা, কোনও কিছুতেই আর ফোন থেকে নজর সরাতে হয় না। মর্নিং ওয়াক হোক কিংবা জিম, জ্যামে আটকে হোক কিংবা ট্রেন-বিমানের জন্য বসে সময় কাটানো, হেডফোন প্রায় সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কিন্তু আজকের হেডফোনের সব থেকে বড় সমস্যা, পরলেই বাইরের কোনও শব্দ আর প্রায় কানেই আসে না। ফলে, আকছার কানে হেডফোন লাগিয়ে চলার দরুন দুর্ঘটনা, অনেকক্ষণ হেডফোন পরে থাকায় কানে ব্যথা, এ রকম হাজার সমস্যা লেগেই থাকে। এ ছাড়া দীর্ঘ সময় হেডফোন লাগিয়ে রাখার দরুন কানের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিও হচ্ছে, ধীরে ধীরে শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।

তরঙ্গের মাধ্যমে শব্দ এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় প্রবাহিত হয়। আপনার ডাক আপনার পাশের মানুষ শুনতে পায় কারণ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল। এটাই চাঁদ হলে পাশে বিস্ফোরণ হলেও আপনি শুনতে পাবেন না, কারণ শব্দতরঙ্গ বহনকারী কোনও মাধ্যম সেখানে নেই। এই ভাবেই, এ বার আপনি গান শুনবেন কানের মধ্যে দিয়ে নয়, বরং কানের পাশের হাড়ের মাধ্যমে। আফটারশক্জ সেই ২০১৬ থেকেই এ রকম হেডফোন তৈরি করে চলেছে।

আরও পড়ুন: পাওয়ার ব্যাঙ্ক কেনার সময় মাথায় রাখুন এ সব বিষয়​

আরও পড়ুন: স্মার্ট ওয়াচেই মজেছে তরুণ প্রজন্ম, কেমন দাম? সুবিধা কী কী?​

এগুলি দেখতে ব্লুটুথ হেডফোনের মতোই। কিন্তু, কানে পরলেই বুঝতে পারবেন বাকি সমস্ত হেডফোনের মতো কানের মধ্যে এই হেডফোন ঢুকে যায় না। বরং, কানের ঠিক সামনেই এঁটে লেগে থাকে এই হেডফোন। হ্যাঁ, সাধারণ হেডফোনের থেকে আওয়াজ কিছুটা আলাদা, ২০ কিলোহার্ত্‌জ থেকে ২০০০০ কিলোহার্ত্‌জ পর্যন্ত এর রেঞ্জ, যা কিনা আমাদের সর্বাধিক শ্রবণ ক্ষমতার সমান। এমনিতে ভাল হেডফোনের ক্ষেত্রে এই রেঞ্জ শুরু হয় ৪ কিলোহার্ত্‌জ থেকে। এই হেডফোনে রয়েছে ওয়েদার শিল্ড, ফলে ধুলো-বৃষ্টি কোনও কিছুতেই এই হেডফোন ব্যবহারে সমস্যা নেই। তাই, ঘামতে ঘামতে জিম হোক কিংবা রাস্তায় চলতে চলতেও যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি, গাড়ি চালাতে চালাতে ব্যবহার করলেও আইন এবং সুরক্ষার দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ, কারণ এতে আপনার কান থাকে একদম খোলা। বাইরের সমস্ত আওয়াজ শুনতে কোনও বাধা থাকবে না।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জোরে গান শোনার ফলে মানুষের শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, যা আফটারশক্জ-এর হেডফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু কিছুটা সতর্কতার সঙ্গে এটি ব্যবহার করলে সাধারণ হেডফোনের থেকে এর ক্ষতি অনেকটাই কম। অনেক ক্ষেত্রে শান্ত, চুপচাপ কোনও জায়গায় হেডফোনে গান শুনলে তার আওয়াজ পাশের লোকজন শুনতে পায়। কিন্তু এখানে সে রকম হওয়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে ৪টি মডেল বাজারে আছে, দাম ৫০০০ থেকে ১২০০০ টাকা পর্যন্ত। এই দামে বাজারে এমনিতে যে হেডফোন পাওয়া যাবে, তার আওয়াজ এই হেডফোনের থেকে ভাল হবেই। কিন্তু নতুন ভাবে শোনার অনুভূতি পেতে হলে, আফটারশক্জ এই মুহূর্তে বাজারের অন্যতম সেরা।

Durga Puja 2019 Ananda Utsav 2019 Technology Bluetooth Headset Aftershokz
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy