গুগলের 'অ্যানড্রয়েড ওয়ান'। যাকে বলে খাঁটি অ্যানড্রয়েড। অন্য কিছু মিশে নেই। এই 'নির্ভেজাল' অ্যানড্রয়েড ব্যবহারের জন্য বেশ কিছু সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে গুগলের।
কথায় বলে খাঁটির মার নেই। বিভিন্ন সংস্থা যখন অ্যানড্রয়েড ব্যবহার করে, তখন মূল অ্যানড্রয়েডের উপরে নানা কারিকুরি চালায়। অনেকের তা নাও পছন্দ হতে পারে। আবার অনেক সময়ে কারিকুরির জন্য ফোনে নানা সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই অনেকে 'নির্ভেজাল' অ্যানড্রয়েডের উপরেই ভরসা রাখেন। আর এই ভরসাকেই হাতিয়ার করে অ্যানড্রয়েড ওয়ান নির্ভর ফোন বাজারে নিয়ে এসেছে বেশ কিছু সংস্থা। যেমন, শাওমির এমআই এ৩।
শাওমি এর মধ্যেই ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। তাদের ফোনগুলি আসে মূলত 'মিআইইউআই' অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে। এটি অ্যানড্রয়েডের উপরে ভিত্তি করেই তৈরি। এর পাশাপাশি, অ্যানড্রয়েড ওয়ান নির্ভর 'এ' সিরিজের ফোন আনতে শুরু করেছে সংস্থা। এই সিরিজের নতুন সংযোজন এ৩।
ফোনটির ডিসপ্লে ৬.০৮ ইঞ্চির এইচডি প্লাস। মানে প্রতি ইঞ্চিতে ৩০০ পিক্সেল। কিন্তু এই সিরিজের আগের ফোনটির ডিসপ্লে কিন্তু ছিল ফুল-এইচডি। ফোনটি চালাতে কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৬৬৫ এসওসি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত ভাল প্রসেসর বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞেরা। এই শক্তিশালী প্রসেসর থাকায় গেম খেলতেও অসুবিধা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ফোনটির দু'টি সংস্করণ এনেছে শাওমি। একটিতে চার জিবি র্যামের সঙ্গে ৬৪ জিবি মেমোরি থাকছে। আর অন্যটিতে ৬ জিবি র্যামের সঙ্গে থাকছে ১২৮ জিবি মেমোরি। তবে হাইব্রিড সিম ব্যবহার করে মেমোরি আরও বাড়িয়ে নিতে পারেন।
এ বার আসা যাক ব্যাটারির কথায়। এই ফোনে রয়েছে ৪০৩০ এমএএইচ ব্যাটারি। যা এক বার চার্জ দিলে মোটামুটি এক দিন চলে যায়। এই ব্যাটারির ফাস্ট চার্জিং-এর ক্ষমতা আছে। ১৮ ওয়াটের চার্জার দিয়ে এটিক চার্জ করা গেলেও শাওমি বক্সের সঙ্গে ১০ ওয়াটের চার্জারই দিচ্ছে।
এই ফোনের পিছনে তিনটি ক্যামেরা থাকছে। তার মধ্যে একটি ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। একটি ৮ মেগাপিক্সেলের। এটি আল্ট্রা ওয়াইড রেঞ্জ অ্যাঙ্গেল সেন্সার ক্যামেরা যার ১১৮ ফিল্ড অব ভিউ আছে। আর আছে ২ মেগাপিক্সেলের ডেপথ সেন্সার ক্যামেরা। আর সেলফির জন্য তৈরি সামনের ক্যামেরাটি ৩২ মেগাপিক্সেলের। যে কোনও আলোয় ক্যামেরাটি ভাল কাজ করে। আর ফোনটি চলবে অ্যানড্রয়েডে ওয়ান-এর ৯-এ চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy