এআই এসে যাওয়ার পরে ছবিতে জামার রং বদল হোক, বা নিজের বা বন্ধুর ছবিকে কার্টুন বানানো, সিভি বানানো কিংবা হরেক খুঁটিনাটি কাজ– ইদানীং সবেতেই চ্যাট জিপিটি ভরসা অনেকের। কিন্তু প্রযুক্তির শরণাপন্ন হতে গিয়ে কি আদতে নিজেরই ক্ষতি করে ফেলছেন? পুজোর সময়ে গাদা গাদা ছবি-ভিডিয়ো তোলা হবে। তা দিয়ে নিশ্চয়ই তৈরি করবেন কোলাজ, কার্টুন কিংবা মজাদার রিল। চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের আগে জেনে রাখুন বাঁচার পথ।
২০২৩ সালে কিন্তু চ্যাট জিপিটির তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। আগামীতেও যে হতে পারে না, এমন নিশ্চয়তা কোথায়? কথাতেই আছে, সাবধানের মার নেই! তাই কোনও ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি বেহাত হওয়ার হাত থেকে নিজেকে কী করে রক্ষা করবেন জেনে নিন।
কোন ধরনের তথ্য চ্যাট জিপিটির সঙ্গে ভাগ করবেন আর কোনটা করবেন না, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য, ব্যবসা সংক্রান্ত, এমনকি ব্যক্তিগত কোনও তথ্য যেমন ইউজারনেম, ইমেল আইডি, ফোন নম্বর চ্যাট জিপিটির সঙ্গে ভাগ করে নেবেন না।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড, সিঙ্গল সাইন-ইন পদ্ধতি ব্যবহার করুন। ঘন ঘন পাসওয়ার্ড বদলান। দীর্ঘদিন একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।
মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অন রাখুন।
সাইবার সুরক্ষার নির্দেশিকা মেনে চলুন।
সংবেদনশীল তথ্য নিয়ে সতর্ক থাকুন। সেই সমস্ত তথ্য ভুলেও চ্যাট জিপিটির সঙ্গে ভাগ করে নেবেন না।
লাগাতার নজরদারি চালান। পরিষেবায় কোনও অস্বাভাবিকতা দেখলেই দ্রুত পদক্ষেপ নিন।
আগামীতে এই বিষয়গুলি মনে রেখে বিজ্ঞানের এই অভাবনীয় আবিষ্কার করলে ব্যবহার করলে বিপদ এড়াতে পারবেন।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।